কলকাতা, ২৩ মার্চ : কাঁধে ব্যাগ নিয়ে একজন যুবক প্রাণপণ দৌড়চ্ছেন। তাঁর পিছন পিছন বুম, ক্যামেরা হাতে সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের ভিড়। পরে জানা যায় ওই যুবক আদতে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত শান্তনু ‘ঘনিষ্ঠ’ আকাশ। রাতের সিজিও কমপ্লেক্স চত্বর। চতুর্দিক প্রায় শুনশান। তার মাঝে সংবাদমাধ্যমের থেকে নিজেকে আড়াল করতেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে সে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ইডি’র স্ক্যানারে শান্তনু ‘ঘনিষ্ঠ’ আকাশ ওরফে সুপ্রতীম ঘোষ, নিলয় মালিক এবং বিশ্বরূপ প্রামাণিক। শনিবার বলাগড়ের রিসর্টে জেরার পর বুধবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁদের তলব করা হয়। সেই অনুযায়ী বেলা ১২টা নাগাদ ইডি দফতরে হাজিরা দেন প্রত্যেকে। সূত্রের খবর, সঙ্গে ছিল বেশ কিছু নথিপত্র। জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। প্রায় ১০ ঘণ্টা ম্যারাথন জেরার পর ইডি দফতর থেকে বেরোন তিনজনে।
সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে অদ্ভূত আচরণ করেন আকাশ। কাঁধে ব্যাগ নিয়ে ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড় দেন। ক্যামেরা, বুম হাতে তাঁর পিছন পিছন দৌড়তে থাকেন সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা। দৌড় থামিয়ে অবশ্য সাংবাদিকদের দিকে তাকিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন আকাশ। বলেন, “কেন বিরক্ত করছেন? বাড়ি যেতে দিন।” ইডি আধিকারিকরা তাঁকে তলব করেননি বলেও দাবি করেন আকাশ।