কলকাতা, ২০ জুলাই : রাত পোহালেই একুশে জুলাই। যাবতীয় প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। ধর্মতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যেই দূরদূরান্তের জেলা থেকে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা এসে পৌঁছেছেন। কলকাতা লাগোয়া জেলার সমর্থকরা আসবেন সোমবারই। একুশে জুলাই উপলক্ষ্যে জনস্রোতে ভাসার অপেক্ষায় মহানগরী কলকাতা। বিভিন্ন জেলা থেকে তৃণমূল কর্মীরা আসবেন কলকাতায়। ২০২৬-এ বিধানসভা ভোটের আগে দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন, তা শোনার অপেক্ষায় শাসক দলের কর্মী-সমর্থকরা।
১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই রাজ্য যুব কংগ্রেসের নেত্রী মমতার আহ্বানে সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্রের দাবিতে ‘মহাকরণ অভিযানে’ নেমেছিল যুব কংগ্রেস। সেই আন্দোলনে কলকাতার রাস্তায় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩ জন যুব কংগ্রেস কর্মী। তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই ২১ জুলাই ‘শহিদ সমাবেশ’ করে তৃণমূল।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতোই, যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ। ২১ জুলাই ভোর ৪টে থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বেশ কিছু রাস্তায় যাত্রিবাহী যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এই রাস্তাগুলি হল আমহার্স্ট স্ট্রিট (উত্তর থেকে দক্ষিণমুখী যান চলাচল করা হবে), বিধান সরণি (কেসি সেন স্ট্রিট থেকে বিবকানন্দ রোড পর্যন্ত যান নিয়ন্ত্রণ), কলেজ স্ট্রিট (দক্ষিণ থেকে উত্তরমুখী যান নিয়ন্ত্রণ), ব্রাবোর্ন রোড (উত্তর থেকে দক্ষিণে), স্ট্র্যান্ড রোড (হেয়ার স্ট্রিট থেকে রাজা উডমুন্ট স্ট্রিট পর্যন্ত), বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট (পূর্ব থেকে পশ্চিমে), বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট (দক্ষিণ থেকে উত্তরে), নিউ সিআইটি রোড (পশ্চিম থেকে পূর্বে) এবং রবীন্দ্র সরণি (বিকে পাল অ্যাভিনিউ থেকে লালবাজার স্ট্রিট পর্যন্ত)। তা ছাড়া, ২১ জুলাই ভোররাত ৩টে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শহরে কোনও পণ্যবাহী গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ। তবে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারবোঝাই গাড়ি, মাছ, মাংস কিংবা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ে শহরে ঢোকা গাড়ির ক্ষেত্রে এই বিধিনিষেধ থাকছে না।