দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: ইরানে পরিচালিত অভিযানে মূল লক্ষ্য অর্জনের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে ইসরায়েল। বিশেষ করে দেশটির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ও পারমাণবিক স্থাপনায় উল্লেখযোগ্য ক্ষতি সাধনের ক্ষেত্রে।ইরানের মাটিতে মার্কিন হামলার পর রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে যুদ্ধের রোডম্যাপ স্পষ্ট করে দিলেন ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। একইসঙ্গে স্পষ্ট করলেন, নির্দিষ্ট লক্ষ্যপূরণ না হওয়া পর্যন্ত থামবে না তেল আভিভ।
রবিবার শেষরাতে ইরানের তিনটি পরমাণুকেন্দ্র ফরদো, নাতানজ ও ইসফাহান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল মার্কিন বমারু বিমান বি২। এই হামলার সঙ্গেই এই যুদ্ধে (War) সরাসরি নেমে পড়েছে আমেরিকা। মার্কিন হামলার পর ইজরায়েলের মাটিতে প্রত্যাঘাত শুরু করেছে ইরান। হাইফা, তেল আভিভের মতো শহরগুলিতে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেছে ইরানে মিসাইল। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই রবিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, “অযথা ধ্বংসাত্মক হামলায় কোনও আগ্রহ নেই ইজরায়েলের। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কিছুই করব না আমরা। তবে যা করব তা হবে সুনির্দিষ্ট ও ভয়ংকর। এই সামরিক অভিযান তখনই শেষ হবে যখন ইজরায়েল নির্ধারিত লক্ষ্যপূরণ করবে।”
নেতানিয়াহু আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য স্পষ্ট, ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক সক্ষমতাকে দুর্বল করা। যতদিন না আমরা সেই লক্ষ্যপূরণ করছি ততদিন আমাদের অভিযান জারি থাকবে।” ইজরায়েল কোনও অপ্রয়োজনীয় যুদ্ধ চায় না বলেও এদিন স্পষ্ট করে দেন তিনি। তবে মার্কিন হামলার পর ইজরায়েলের মাটিতে কার্যত সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে ইরান। রবিবার ইরানের অন্তত ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র তেল আভিভ, হাইফা, রামাত আভিভ, বেনগুরিয়ান বিমানবন্দর-সহ আরও একাধিক জায়গায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। শুধু তাই নয়, এই যুদ্ধে প্রথমবার নিজেদের খাইবার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ইরান। আয়রন ডোমকে পরাস্ত করে ইজরায়েলের এআই গবেষণাকেন্দ্র, সাইবার কমান্ড সেন্টার-সহ একাধিক জায়গাকে নিশানা করে।হামলা পালটা হামলার মাঝেই রবিবার মুখ খুলেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনেই। এক্স হ্যান্ডেলে ইজরায়েলকে নিশানা করে তিনি লেখেন, ‘জায়ানবাদী (ইহুদি মতাদর্শ) শত্রুরা বড় ভুল করে ফেলেছে। যে অপরাধ ওরা করেছে তার শাস্তি ওদের পেতেই হবে। ইতিমধ্যেই ওই অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী দিনেও তা জারি থাকবে।’