দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক :নেপাল এখন গণবিদ্রোহের আগুনে ধূলিসাৎ। ছাত্র-যুবকদের আন্দোলনে রাজধানী কাঠমান্ডু সহ একাধিক শহর অগ্নিগর্ভ। এই ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতির মধ্যে সেনাপ্রধান প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলিকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন। নেপালি সংবাদমাধ্যমের দাবি, সেই আহ্বান মেনে পদত্যাগও করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি, মন্ত্রীদের নিরাপত্তার জন্য সেনা হেলিকপ্টারে দ্রুত নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে বিমানবন্দর ও বাতিল সমস্ত উড়ান। সব মিলিয়ে দেশজুড়ে পরিস্থিতি রীতিমতো অগ্নিগর্ভ।
সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেলের প্রস্তাব মেনে ওলি ইস্তফা দিয়েছেন। নেপালি সংবাদমাধ্যমের দাবি, দ্রুতই দেশ ছেড়ে চলে যেতে পারেন তিনি। আগেই শোনা যাচ্ছিল, উপপ্রধানমন্ত্রীর হাতে আপাতত দায়িত্ব দিয়ে দুবাইয়ে চিকিৎসার জন্য তিনি যেতে পারেন। এদিকে নেপালের অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু পৌড়েলকে মারধর করা হচ্ছে বলে শোনা গিয়েছে। সংসদ ভবনের সমস্ত গেট খুলে দিয়েছে সেনা। ঢুকে পড়ছে উন্মত্ত জনতা।
জনকণ্ঠ রোধে সোশাল মিডিয়ায় নিষেধাজ্ঞার অভিযোগে সোমবার সকালে তরুণ তুর্কিদের যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল নেপালে, রাতের মধ্যে তা হিংসাত্মক চেহারা নেয়। পুলিশ, এমনকী সেনার প্রতিরোধেও কাজ হয়নি। এর ফলে বিপ্লবের বলি হয় ২১ জন। আহত তিনশোর বেশি। এই অবস্থায় সোমবার গভীর রাতে সোশাল মিডিয়ায় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। যদিও এরপরেও আন্দোলন থামেনি। দুর্নীতির অভযোগ এনে ওলি সরকারকে মসনদ থেকে সরানোর ডাক দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। এদিন সকালে পুলিশ-সেনার ঘেরাটোপ উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখায় জনতা। জানা গিয়েছে, সেখান বিক্ষোভকারীদের রুখতে গুলি চালায় নিরাপত্তারক্ষীরা। গুলিবিদ্ধ হন দু’জন। কোণঠাসা প্রধানমন্ত্রী ওলি সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিলেও সমস্থার সুরাহা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে তিনি বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতোই দেশ ছাড়বেন, এই সম্ভাবনাই জোরাল হয়েছে।
সোশাল মিডিয়া উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও, হিংসার আগুন নিভছে না নেপালে। Gen-Z বিক্ষোভ এবার ভয়াবহ আকার নিয়েছে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে একের পর এক সরকারি অফিস। ওলি পদ আঁকড়ে বসে থাকলেও একযোগে ইস্তফা দিয়েছেন উপপ্রধানমন্ত্রী-সহ ৯ মন্ত্রী। নেপালি সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইতিমধ্যে হেলিকপ্টারে চড়ে দেশ ছেড়েছেন ওলি। এখনও পর্যন্ত ‘বিপ্লব’-এর বলি হয়েছেন ১৯ জন, আহতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে। ওলি পদত্যাগের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
আন্দোলনকারীদের চাপের মুখে অবশেষে ইস্তফা দিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলি।
সংসদ ভবনের সমস্ত দরজা খুলে দিল সেনা। দরজা খুলতেই ঢুকে পড়ল উন্মত্ত জনতা। নেপালের অর্থমন্ত্রীকে ফেলে মার। প্রাণ বাঁচাতে দৌড়। বিদ্রোহীদের হাতে ঘুরছে সেনার অস্ত্র।
: ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দখল উন্মত্ত জনতার। বাতিল সমস্ত উড়ান। নেপালের আকাশে চক্কর কাটছে দিল্লি-কাঠমাণ্ডু, ঢাকা-কাঠমাণ্ডুর বিমান।
উন্মত্ত জনতা আগুন ধরিয়ে দিল সংসদ ভবনে। জ্বলছে একের পর এক থানা।
সংসদ ভবনের সমস্ত দরজা খুলে দিল সেনা। দরজা খুলতেই ঢুকে পড়ল উন্মত্ত জনতা। নেপালের অর্থমন্ত্রীকে ফেলে মার। প্রাণ বাঁচাতে দৌড়। বিদ্রোহীদের হাতে ঘুরছে সেনার অস্ত্র।
প্রধানমন্ত্রী ওলির ব্যক্তিগত বাসভবনে আগুন জ্বালিয়ে দিল আন্দোলনকারীরা।
কাঠমাণ্ডুতে প্রেসিডেন্টের বাড়ি ভাঙচুর আন্দোলনকারীদের। ওলির বাড়ির সামনে ভিড় উন্মত্ত জনতার। প্রতিবাদীদের থামাতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ছে পুলিশ।
আন্দোলনকারীদের থামাতে বিবৃতি ওলি সরকারের। সকলকে শান্তি বজায় রাখার আর্জি। পাশাপাশি সমস্যা মেটাতে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার আর্জি।
পড়শি দেশের হিংসায় উদ্বিগ্ন ভারত সরকার। সোমবার বিবৃতি জারি করে কেন্দ্র জানিয়েছে, ‘নেপালের কাঠমাণ্ডু-সহ একাধিক শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে, সেদিকেও আমরা নজর রাখছি। নেপালে যেসমস্ত ভারতীয়রা রয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। নেপালি প্রশাসনের নির্দেশ মতো চলতে অনুরোধ করা হচ্ছে ভারতীয়দের।’