ঢাকা, ১ মার্চ : বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডের একটি বহুতলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৫ জন। অগ্নিকাণ্ডে আহত ও জখম হয়েছেন কমপক্ষে ২২ জন, এই অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর আগে রাতেই বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেছিলেন, আগুনে ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বার্ন ইনস্টিটিউটে এখনও পর্যন্ত ১০ জন মারা গিয়েছেন। অপরদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৪ জন মারা গিয়েছেন। শুক্রবার সকালে আরও একজনের মৃত্যুর পর মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৫।
ঢাকার দমকল বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা নাগাদ ঢাকার বেইলি রোডে অবস্থিত একটি সাততলা ভবনে আগুন লাগে। বাড়িটি বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা হত। ওই বহুতলটিতে খাবারের দোকান ছাড়াও জামাকাপড়, মোবাইল এবং অন্যান্য দোকান ছিল। বহুতলটির দ্বিতলে একটি বিরিয়ানির দোকান ছিল। মোট ১৩টি ইঞ্জিনের সাহায্যে প্রায় দু’ঘণ্টার প্রচেষ্টায় রাত ১১টা ৫০মিনিট নাগাদ আগুন নেভাতে সক্ষম হন দমকল কর্মীরা। আগুন নিভিয়ে ফেলার পর শুরু হয় উদ্ধারকাজ। দমকল বিভাগের আধিকারিক মহম্মদ মইনুদ্দিন জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম এবং দ্বিতলে সর্বপ্রথম আগুন লাগে। আগুন ক্রমে উপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। নীচ থেকে উপরের দিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় বাড়িটির মধ্যেই অনেকে আটকে পড়েন। আগুন এবং ধোঁয়ার হাত থেকে বাঁচতে অনেকে ছাদে গিয়ে আশ্রয় নেন। বহুতলটির ভিতর থেকে মোট ৭৫ জনকে জীবিত অবস্থায় বাইরে বার করে আনা গিয়েছে।
এই অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। বেইলি রোডে কাচ্ছি ভাই নামে একটি রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সূত্রপাত জানতে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে দমকল বিভাগ। কমিটির সভাপতি হলেন- লে. কর্নেল মহম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স)। এছাড়া সদস্য সচিব মো. ছালেহ উদ্দিন, উপপরিচালক ও সংশ্লিষ্ট জোনের ডিএডি, সিনিয়র স্টেশন অফিসার এবং ওয়ারহাউজ ইন্সপেক্টর।