কাঁথি, ২৬ মে: ধেয়ে আসছে ‘রেমাল’। দিঘায় শুরু হয়েছে জলোচ্ছ্বাস। আর সেই ‘মনোরম’ দৃশ্য দেখতেই দিঘার সমুদ্রের পাড়ে ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকরা। ‘অত্যুৎসাহী’ সেই পর্যটকদের সমুদ্রের ধার থেকে সরাতে রবিবার সকালে রীতিমতো হিমশিম খেতে হল পুলিশ প্রশাসনকে। লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে গেলেন তাঁরা। তার পরেও ইতিউতি ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা। ঝড়ের তাণ্ডবের কথা মাথায় রেখে পর্যটকদের দিঘা ছাড়ার আর্জি জানিয়ে মাইকিং করছে প্রশাসন।
রবিবার সকাল থেকেই আকাশ কালো। সঙ্গে দমকা হাওয়া, প্রবল বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাস। তার পরেও পর্যটকদের ঘরে আটকানো যায়নি। উত্তাল সমুদ্রে স্নান করতে নেমেছেন বহু পর্যটক। আবার সুমদ্রের ধারেও জড়ো হয়েছেন অনেকে। জলোচ্ছ্বাস দেখতে। তবে সকাল থেকেই সতর্ক পুলিশ প্রশাসন। মাইকিং করছে তারা। রাস্তায় নেমে আমজনতাকে সতর্ক করেছেন। তাতেও কাজ না হওয়ায় লাঠি উচিয়ে তাড়া করেছে পুলিশ। কোথাও কোথাও লাঠিচার্জ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় রেমালের (ল্যান্ডফলের সময় যত এগোচ্ছে রাজ্যজুড়ে খারাপ হচ্ছে আবহাওয়া। সমুদ্র উপকূলবর্তী জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে বৃষ্টির সঙ্গে চলছে ঝোড়ো হাওয়া। দিঘার সমুদ্রে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন। পর্যটকদের স্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের কর্মীদের সৈকতে কড়া নজরদারি চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে নামার বারণ রয়েছে। তাঁদেরকে পরিবার নিয়ে সতর্কতা মেনে সমুদ্রতট ছেড়ে সুরক্ষিত জায়গায় সরে যেতে বলা হয়েছে।