দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃসংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ফের অশান্তি সীমান্ত এলাকা বনগাঁয়। CAA নিয়ে বক্তব্য রাখার সময়ে অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বাংলা পক্ষ’র উপর হামলার অভিযোগে ভোটের আগে সরগরম এলাকার রাজনৈতিক মহল। এনিয়ে তরজায় জড়িয়েছেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস ও বিজেপি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডল। ‘বাংলা পক্ষ’র তরফে বিষয়টি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, রবিবারের সভায় আইনটি বাংলায় পড়ে শোনানো হচ্ছিলয তাতেই হামলাকারীরা ভেবেছেন, বিরোধী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। আর সেই কারণেই বক্তা তথা সংগঠনের সম্পাদককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ আঙুল উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। যদিও বিজেপি সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
রবিবার রাত দশটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ থানার বাটা মোড় এলাকায় | সেখানে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন সংগঠনের সম্পাদক কৌশিক মাইতি। অভিযোগ, তিনি প্রকাশ্যে পথসভা থেকে সিএএ আইনকে বাংলায় অনুবাদ করে বলছিলেন | সে সময় কয়েকজন বিজেপি কর্মী এসে গালিগালাজ করতে থাকেন | প্রতিবাদ করতেই হেলমেট দিয়ে মারার চেষ্টা করে, ধাক্কাধাক্কি শুরু করে দেয় | খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বনগাঁ থানার পুলিশ, বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস।
বাংলা পক্ষের অন্যান্য সদস্যরা জানিয়েছেন, বাংলা পক্ষ সামাজিক সংগঠন | বাঙালির অধিকার রক্ষার সংগঠন | ভোটের আবহে তাঁরা রাজের বিভিন্ন জায়গায় সভা করে সিএ এর বিষয়ে মানুষকে জানাচ্ছেন | কিন্তু আচমকাই তাঁদের উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা।
এদিন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বনগাঁ থানার পুলিশ। এপ্রসঙ্গে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ”বনগাঁয় এ ধরনের ঘটনা অতীতে কখনও ঘটেনি। বিজেপি শাসিত রাজ্যের সংস্কৃতি এখানে আনতে চাইছে। আমরা পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে| কারণ ওরা কোনও রাজনৈতিক সংগঠন নয়।” অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি দেবদাস মণ্ডল। তাঁর মতে, ”তৃণমূল ও বাংলা পক্ষ একই সংগঠন। এখানে তৃণমূল তৃণমূলের উপর হামলা চালিয়েছে। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই।”