দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণার পর জেলার মাটিতে পা দিয়েই উচ্ছ্বাসে ভাসলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। নিজে টোটো চালিয়ে প্রথম প্রচারেই নজর কাড়লেন তিনি। শুধু তাই নয়, চালালেন টোটো।একইসঙ্গে এবার পৌনে ৪ লাখ ভোটের ব্যবধানে তিনি জিতবেন বলেও দাবি করেন সুভাষ সরকার।
সুভাষ সরকার বলেন, 'অন্ডাল এয়ারপোর্টে নামার সঙ্গে সঙ্গে বাঁকুড়ার সমস্ত কার্যকর্তারা সেখানে হাজির। আর তাঁদের এত উষ্ণ অভ্যর্থনা, তাঁদের সঙ্গে আমি রানিগঞ্জের রাস্তা হয়ে, মেজিয়া দুর্গাপুর মোড়, গঙ্গাজলঘাটি... অসংখ্য মানুষ অপেক্ষা করে থেকেছে, কাতারে কাতারে রাস্তার দু'ধারে বেরিয়ে এসেছে। সেই ভাই আমার, অপু ভাই, ওর টোটো ২০১৯-এর চালিয়েছিলাম। ও অসুস্থ, আঘাত লেগেছে, তা সত্ত্বেও ও টোটো নিয়ে হাজির। তাই ওর টোটো চালিয়েছি, ওর টোটো খুব পয়মন্ত। সেই টোটো চালিয়েই মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করলাম।'
বিজেপি প্রার্থী এরপর এক প্রশ্নের উত্তের বলেন, '২০১৯ সালে পৌনে ২ লাখ ভোটে জিতেছিলাম, তখন প্রতিপক্ষ প্রার্থী ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এবারে পৌনে ২ লাখ নয়, পৌনে ৪ লাখ হবে। বাঁকুড়ার মানুষের জন্য যা যা করেছি সেগুলি বলতে বলতে পারব। ২ তারিখে ১১ হাজার ৬৫৪ কোটি টাকা বাঁকুড়া লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী বরাদ্দ করলেন। এছাড়াও অনেক প্রকল্প আছে।' একইসঙ্গে সুভাষের দাবি বাঁকুড়ায় ভারতীয় জনতা পার্টির কোনও প্রতিপক্ষ নেই।
যদিও রাজনৈতিকমহলের একাংশ মনে করছে, সুভাষ সরকারের বক্তব্য অনুযায়ী বাঁকুড়ায় তাঁর কোনও প্রতিপক্ষ না থাকলেও, বিজেপির অন্দরেই তাঁর বহু বিরোধী রয়েছেন। সাম্প্রতিককালে সেগুলি বিভিন্ন সময় প্রকাশ্যে চলে এসেছে। একাধিকবার দলের একাংশকে প্রকাশ্যে সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে দেখা গিয়েছে। এমনকী যেদিন বাঁকুড়ার প্রার্থী হিসেব বিজেপি সুভাষ সরকারের নাম ঘোষণা করা হয়েছে, সেই দিনও তাঁর বিরুদ্ধে একেবারে হাতে দলের পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন কর্মী সমর্থকদের একাংশ। তাঁর ছবিতে কালি লেপে দিয়েও প্রতিবাদ জানান হয়েছে। যদিও দলের জেলা নেতৃত্ব অবশ্য দাবি করেন, যাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেছেন তাঁরা বিজেপির কেউ নন। সেক্ষেত্রে দেখার এই ধরনের বিক্ষোভকে প্রতিহত করে কী ভাবে ভোটের লড়াইতে এগিয়ে চলেন বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী।