দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ধুপগুড়ির দামবাড়ির বাসিন্দা নিবাস চন্দ্রশীল একটি সেলুন চালাতেন। তবে আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য ছিল না সংসারে। বউয়ের থেকে শুনতে হত গঞ্জনা শুনতে হত বাইকের কিস্তি শোধ নিয়েও। গত রবিবার সাত সকালে এই নিয়ে বউয়ের সঙ্গে ‘খিটখিট’ লাগে তাঁর। এরপর কার্যত রাগে গর্জাতে গর্জাতে বাজারে মাংস কিনতে যান তিনি। ১ কেজি মুরগির মাংস কেনার পর বাড়ির ফেরার পথে ৩০ টাকার লটারি কেটে ফেরেন বাড়িতে।
সেই ৩০ টাকাই যে তাঁর গোটা জীবন বদলে দেবে, তা ভাবতেও পারেননি ওই সেলুনকর্মী। তিনি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জানতে পারেন কোটি টাকা লটারি জয়ের কথা। খবর নিমেষে চাউর হয় গোটা এলাকায়।
এলাকাবাসীরা জানতে পারেন এলাকার ছেলে কোটি টাকা জিতেছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যাবধানেই বদলে যায় আকাশ জমিন। ইতিমধ্যেই তাঁকে দেখতে ভিড় জমিয়েছেন এলাকার মানুষজনেরা। এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, 'নিবাস এলাকায় বরাবর শান্ত ছেলে হিসেবেই পরিচিত ছিল। আর্থিকভাবে ততটাও স্বচ্ছন্দ নয়। আর সেই নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে অল্প বিস্তর ঝগড়াও চলত। তবে ও নিপাট ভালোমানুষ। তাই বোধহয় ভগবান মুখ তুলে তাকিয়েছে। এই টাকা দিয়ে ও নতুন কোনও কাজ শুরু করুক এবং ওর জীবন ভালো কাটুক এই কামনা করছি।'
এই প্রসঙ্গে নিবাস চন্দ্রশীল বলেন, অনেকদিন ধরেই লটারি কাটি। আজকে ৩০ টাকার লটারি কেটে এক কোটি টাকা পেয়েছি। এদিকে রাতারাতি জীবন বদল নিয়ে নিবাস চন্দ্রশীল বলেন, 'অনেকদিন ধরেই লটারি কাটি। আজও ৩০ টাকার লটারি কেটেছিলাম। কোটি টাকা পাব স্বপ্নেও ভাবিনি। জীবনটা অনেকটাই সহজ হবে এবার এমনটাই ভাবছি। নতুন করে বাঁচব।’এদিকে স্বামীর লটারি পাওয়ার খুশিতে কার্যত গদগদ খুশি তাঁর স্ত্রী। মিষ্টিমুখ করার পর হাসি বাঁধ ভাঙে। খুশিতে ডগমগ ওই মহিলা।