যেখানে যাত্রীদের আধুনিক পরিষেবা প্রদানের জন্য অটোমেটিক মেশিন বসানো হয়েছে। টিকিটে থাকবে কিউ আর কোড। সেই কিউ আর কোড স্ক্যান করিয়ে যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবেন। যাঁরা মাসিক টিকিট কেটে যাতায়াত করবেন তাদের জন্য থাকবে স্মার্ট কার্ড। সেই স্মার্ট কার্ড পাঞ্চ করে যাত্রীরা গন্তব্যে পৌঁছতে পারবেন।
এছাড়াও যাত্রী সুবিধার্থে একাধিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। রয়েছে বসার জায়গা। বৃষ্টিতে যাত্রীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য চারপাশ ঘিরে দেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত আলো লাগানো হয়েছে ঘাটে। এককথায় আধুনিক করা হয়েছে এই ফেরিঘাটকে। এছাড়াও চুঁচুড়া নৈহাটি ফেরি সার্ভিসের জন্য নতুন একটি লঞ্চ দিয়েছে পরিবহণ দফতর।
নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনার সঙ্গে হুগলি সংযোগকারী ঈশ্বর গুপ্ত সেতুর অবস্থা খারাপ। কবে নতুন সেতু চালু হবে তার এখনও কোনও নিশ্চয়তা নেই। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনেকটাই থমকে যাচ্ছে। বিপাকে পড়তে হচ্ছিল সাধারণ মানুষদের।
চারচাকা বা দু'চাকার গাড়ি যাতে ভেসেলের মাধ্যমে পারাপার করা যায় তারও পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান চুঁচুড়ার পুর প্রধান অমিত রায়। হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার অন্তর্গত হুগলি ফেরি ঘাট, তামলি পাড়া ফেরি ঘাট এবং চাঁদনি ঘাটের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী।
চুঁচুড়ার ফেরিঘাটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার, সদর মহকুমা শাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লা, হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায়। অন্যদিকে, এদিন শেওড়াফুলির ফেরিঘাটের নবনির্মিত ফেরি সার্ভিস ও শেওড়াফুলি কানাই দেওয়ান ফেরিঘাটের ভার্চুয়ালি শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী।
শেওড়াফুলিতে ফেরিঘাটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হুগলির জেলাশাসক মুক্তা আর্য, চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি, হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারা, চাঁপদানির বিধায়ক অরিন্দম গুইন , বৈদ্যবাটির পুরপ্রধান পিন্টু মাহাতো। স্বাভাবিকভাবেই যাত্রীরা এই পরিষেবা চালু হওয়ার পর বিস্তর খুশি।