দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন একশো দিনের বকেয়া নিয়ে। মাননীয়া নেতৃ জানিয়েছেন, সেই টাকা আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সমস্ত শ্রমিককে তাঁদের অ্যাকাউন্টে বকেয়া পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তবে গ্রামবাসীদের অভিযোগ রয়েছে, ই একশো দিনের টাকা নিয়েও প্রচুর দুর্নীতি এবং তৃণমূল নেতাদের কাটমানির। এবার মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়ার গলায় শোনা গেল কাটমানির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি।
বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানার ৫ নম্বর সারতা অঞ্চলের বনাই গ্রামে ফায়ার স্টেশন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে মানস ভূঁইয়া বলেন, ‘একশো দিনের কাজের টাকা সাধারণ মানুষের অ্যাকাউন্টে ঢোকার পর কেউ যেন রাতে গিয়ে ধমক না দেয়। হাত না পাতে। সতর্ক হোন।।এই টাকা নিয়ে কেউ যদি গরিব মানুষের সঙ্গে অসভ্যতামি করে এসপি সাহেবকে দিয়ে গ্রেফতার করিয়ে দেব।’
একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধরনায় বসেছিলেন। ধরনা মঞ্চ থেকে ঘোষণাও করেছেন ২১ ফেব্রুয়ারি ২১ লাখ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বকেয়া মজুরির টাকা পৌঁছে যাবে। মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী আগামী একুশে ফেব্রুয়ারি সাধারণ মানুষের অ্যাকাউন্টে ১০০ দিনের বকেয়া টাকা ঢুকে যাবে। পাশাপাশি তিনি সবং ব্লক সভাপতি আবু কালাম বক্স সহ এলাকার সমস্ত নেতৃত্বদের সতর্ক করে দেন এদিনের মঞ্চ থেকে।
এদিন মানস বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টাকা যোগাড় করবে আর আমাদের মধ্যে কেউ যদি এদিক-ওদিক করে তাহলে কিন্তু গ্রেফতার হবেন।’ তাহলে কি বিরোধীদের অভিযোগটায় সত্য প্রমাণিত হচ্ছে যে ১০০ দিনের টাকা স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের পকেটে যেত ? শুরু হয়েছে জল্পনা।
স্থানীয় এক বিজেপি নেতার দাবি, মন্ত্রীর কথাতেই স্পষ্ট তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য, নেতারা একশো দিনের কাজে কাটমানি নিতেন। এই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকার একশো দিনের কাজের দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত চাইছেন। আমরাও একাধিকবার বলে এসেছি, রাজ্যের সমস্ত স্তরের নেতারা এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তার বিরুদ্ধেই রাজ্য বিজেপি আন্দোলন চালিয়ে আসছে। পালটা, তৃণমূল এক পঞ্চায়েত সদস্যের কথায়, উনি বোঝাতে চেয়েছেন যেন কেউ এই ধরনের অপরাধ না করে। যদি কোথাও কেউ করেও থাকে, সেই ব্যাপারেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এর মানে এটা নয়, কেউ এই কাজের সঙ্গে যুক্ত।