দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ইদের উৎসবেই চলে গেল দুই প্রাণ। দুই স্কুল ছাত্রের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াল বাইক দুর্ঘটনা। এর পাশাপাশি আহত আরও এক নাবালক পড়ুয়া। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকেলে মালদা-মানিকচক রাজ্য সড়কের উপরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ইংরেজবাজার থানার কেস্টনগর গ্রামের এই ঘটনায় সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে ছড়িয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। মৃতরা হলো সরফরাজ মোমিন (১৪) ও আলিম মোমিন (১৮)। দু’জনেই স্থানীয় একটি হাইস্কুলের অষ্টম ও দশম শ্রেণির ছাত্র।
অমৃতি অঞ্চলের লালাপুর গ্রামে এদের বাড়ি। তবে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে পুলিশ ও গ্রাম বাসিন্দাদের মধ্যে মত পার্থক্য উঠে আসছে। গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন পেছন থেকে একটি গাড়ি ধাক্কা মারায় একই মোটর বাইকে থাকা তিন জন রাস্তায় ছিটকে পড়ে।
আবার অন্যদিকে পুলিশের মতামত, কোনও গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগেনি, বেলাগাম গতি এবং কারও মাথায় হেলমেট না থাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ওদের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, এদিন বিকালে লালাপুর গ্রামের তিন কিশোর সরফরাজ, আলিম ও তাদের এক বন্ধু আশরাফ মোমিন একটি বাইকে করে অমৃতির ভবানীপুর গ্রামে ঘুরতে গিয়েছিল। মাঝপথে দুর্ঘটনা ঘটে।
আহত অবস্থায় তিনজনকেই মালদা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে সরফরাজ ও আলিমকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে হাসপাতালে দাঁড়িয়ে তাদের এক প্রতিবেশী হাবলু শেখ বলেন, ‘মৃত আলিম ও আহত আশরাফ দু’জনে আত্মীয়। ঈদের জন্য ভবানীপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিল তারা। যাওয়ার পথে প্রতিবেশী সরফরাজকে সঙ্গে নিয়েছিল। কিন্তু মাঝ রাস্তায় বাইক থামিয়ে একজন প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইক থেকে নামায়। অন্য দু’জন রাস্তার ধারে বাইকে বসেছিল। এমন সময় একটি ইসিউভি তাদের ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়।’
যদিও ইংরেজবাজার থানার পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্তে কিন্তু অন্য গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষের বিষয়টি প্রমাণ হয়নি। বরং ঘটনাটা সেমসাইড বলেই মনে হচ্ছে। পুলিশের বক্তব্য, এখন পর্যন্ত তদন্তে যা বোঝা যাচ্ছে তাতে, দুর্ঘটনার শিকার ওই কিশোররা বেশ কিছু বেনিয়ম করেছিল।
প্রথমত, অল্পবয়সী তিনজন একটি বাইকে ছিল। দ্বিতীয়ত, অতি উৎসাহে বাইকের গতি বাড়িয়েছিল। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারায় বাইক সমেত ওরা ছিটকে পড়ে। তৃতীয়ত, কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। ফলে রাস্তায় ছিটকে পড়ায় মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। এবং তার ফলেই দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।