West Bengal

3 months ago

Asansol: এসিতে নেই অনুমতির বালাই! বিদ্যুৎ বিভ্রাটে সরগরম আসানসোল

AC does not have permission! Asansol is hot due to power outage
AC does not have permission! Asansol is hot due to power outage

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ এসি, কুলারের ব্যবহার বেড়েছে তীব্র গরমে। বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম এবার তার জের সামলাতে নাজেহাল হয়ে পড়ছে। আসানসোল মহকুমা জেরবার হচ্ছে লো ভোল্টেজ, সিঙ্গল ফেজের সমস্যা, বিকল ট্রান্সফর্মারে। বহু জায়গায় লো ভোল্টেজ বা সিঙ্গল ফেজের কারণে চলছে না ফ্যান বা এসি। যার প্রতিবাদস্বরুপ বিভিন্ন বিদ্যুৎ দপ্তরে বিক্ষোভ, ডেপুটেশন চলছে গ্রাহকদের। আবার বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের গাড়িও কোথাও আটক করা হচ্ছে। ভুক্তভোগী মানুষ কিছু রাস্তায় নেমে অবরোধ করছেন। তবে ই পরিস্থিতি থেকে রাতারাতি মুক্তিলাভ সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকরা। প্রায় একমাস ধরে রূপনারায়ণপুর, দেশবন্ধু পার্ক, অরবিন্দ নগর, মহাবীর কলোনি সমেত বিস্তীর্ণ অঞ্চলে লো ভোল্টেজের দরুন নিদ্রাহীন রাত কাটাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।

সৌমেন কর্মকার নামে এক বাসিন্দা বলেন, 'গত ১০-১১ দিন রাতে আমাদের ঘুম হয়নি।' রূপনারায়ণপুরের রূপনগরে প্রায় একমাস ধরে সিঙ্গল ফেজের কারণে গত সোমবার গাড়ি সমেত বিদ্যুৎ কর্মীদের আটকে রাখা হয়। পরে পুলিশ ও বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকরা সেখানে পৌঁছে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। মঙ্গলবারও রূপনারায়ণপুরের সহকারী ইঞ্জিনিয়ারের দপ্তরে প্রচুর মানুষ ডেপুটেশন দিয়েছেন।

তাঁদের অভিযোগ, এক মাসের উপরে লো ভোল্টেজের সমস্যায় তাঁরা জেরবার। পঞ্চায়েত এলাকা হওয়ায় এখানে রাত ১০টার পর বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মোকাবিলায় কোনও কর্মী পাওয়া যায় না। সহকারী ইঞ্জিনিয়ার বিপ্লব মণ্ডল বলেন, 'যতটা সম্ভব আমরা সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছি।'

বিকল হচ্ছে ট্রান্সফর্মারও। আসানসোলের রেলপাড়ে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের মিস্ত্রিপাড়ায় ওভারলোডিংয়ে নষ্ট হয়েছে ট্রান্সফর্মার। আসানসোলের রেলপাড়, ডিপোপাড়া, বাবুয়াতলা, কেটি রোড, শফি মোড়, ধাদকা রোড সমেত বিস্তীর্ণ এলাকা একই সমস্যার মুখোমুখি বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে বাসিন্দারা। বরাকরের বাসিন্দা সঞ্জীব যাদব বলেন, 'এখানে প্রায়ই দু'তিন ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। বিদ্যুৎ দপ্তরে জানানো হলে ওঁরা বলেন, উপরমহলে কথা বলুন।'

বরাকর হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও নিয়ামতপুরের বাসিন্দা অনির্বাণ রায় বলছেন, 'বিদ্যুতের অবস্থা এই গরমে একেবারে বেহাল। বিদ্যুৎ দপ্তরের এটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। গরমে অসুস্থতাও বাড়ছে।' তবে রানিগঞ্জের একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে যথেষ্ট ভালো আছেন তাঁরা।

পশ্চিম বর্ধমান জেলার রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের রিজিওনাল ম্যানেজার বিশ্বজিৎ বাগদি বলেন, 'ভয়ঙ্কর গরমে এসির চাহিদা আচমকা বেড়ে গিয়েছে। অধিকাংশ মানুষ এসি লাগালেও অনুমতি নিচ্ছেন না। ফলে কোথায় কত পরিমাণে বিদ্যুৎ বাড়াতে হবে তা বোঝা যাচ্ছে না। কোথাও বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে। এজন্য রুরাল ইলেক্ট্রিফিকেশন দপ্তরের মাধ্যমে কিছু সংস্কারের কাজ চলছে।' রূপনারায়ণপুরে বিদ্যুতের সমস্যা মেটাতে আগামী এক বছরের মধ্যে দু'টি নতুন ফিডার লাইন চালু করা হবে বলে জানান তিনি।

You might also like!