দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বিয়ে জীবনের চরম স্মরণীয় মুহূর্ত। জীবনে একবারই হয়। কিন্তু বিয়ে মানেই অন্তত এক মাসের কোলাহল, জনসমাগমে পূর্ণ বাড়ি। নিজের নব-বধূকে একটু নিরালায় নির্জনে চিনে নেওয়ার জন্য কার আর সেই ভিড়ে ঠাসা জায়গা ভালো লাগে! তাদের জন্যই নতুন ডেস্টিনেশন 'রিকিসুম' গ্রাম।
নিঝুম নির্জনতায় ঘেরা এই জায়গা। কালিম্পংয়ের ২০ কিলোমিটার উত্তরে পাহাড়ের উপরে ছোট্ট শান্ত গ্রাম রিকিসুম। চোখের সামনে মেঘের ভেলা আর কাঞ্চনজঙ্ঘা, রিকিসুমের সৌন্দর্যে শান্ত মন। রিকিসুমের নিস্তবদ্ধতায় যেন হৃৎস্পন্দনও শোনা যায়। ৬১৪০ ফুট পাহাড়ি উচ্চতায় এই গ্রাম যেন চোখের আরাম। শহুরে ক্লান্তি কেটে যায় মুহূর্তে। পাহাড়ের ধাপে ধাপে কাঠের বাড়ি আর বাঁকানো সিঁড়ি যেন একটা ছবি। নতুন বিয়ের গন্ধ গায়ে মেখেই সঙ্গীকে নিয়ে মধুচন্দ্রিমায় চলে যেতে পারেন নির্জন নিরিবিলি রিকিসুমে।
রিকিসুম কলিংপং এর একটা অন্যতম উপত্যকা। প্রকৃতি এখানে উজাড় করে দিয়েছে রঙের বাহার। রূপে ধাঁধা লেগে যায় চোখে। এমন সতেজ রং মধুচন্দ্রিমার দিনগুলি আরও রঙিন করে তুলবে। আকাশ পরিষ্কার থাকলে এখান থেকে দেখতে পেতে পারেন টাইগার হিলও। রিকিসুম থেকে সূর্যোদয়ের দৃশ্য আপনার মনে গেঁথে যাবে। পাইন গাছের জঙ্গল আর ঝিরঝিরে হাওয়ায় মন ভাল হতে বাধ্য। রোদ-বৃষ্টি আর সবুজের গালিচার জগতে মন ভালো করা পরিবেশ।
যাওয়া - আসলে কলিংপং পৌঁছালেই হাতের কাছে রিকিসুম। হাওড়া থেকে দূরপাল্লার ট্রেনে চেপে নামতে হবে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে আসতে হবে কালিম্পং। এখান থেকে গাড়ি করে যেতে হবে রিকিসুম।
থাকা - রিকিসুমে অজস্র ঝকঝকে হোমস্টে আছে। একবার ফোন করে চলে যান রিকিসুম গ্রাম।