দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ দার্জিলিং ভ্রমণ তো কম-বেশি সকলেই করেছেন। কিন্তু প্রচারের এভাবে ওখান থেকে এই ঐতিহাসিক ব্রিজ প্রায় কেউই দেখেন নি। সম্প্রতি ওই ব্রিজকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে পর্যটকদের বিশেষ আকর্ষণ।
এবার একটি বহু পুরানো ব্রিজ দার্জিলিঙের অন্যতম প্রধান আকর্ষণের জায়গা হয়ে উঠেছে। দার্জিলিংয়ের কাছেই পুমুং চা-বাগান এলাকায় আছে ব্রিটিশ আমলের বার্বোটে ব্রিজ। সেই ব্রিজকে ঘিরেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন দার্জিলিঙের পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
এই ব্রিজের সঙ্গে যুক্ত আছে ভারতের ইতিহাস। এখন ব্রিটিশ আমলের এই ঝুলন্ত ব্রিজ দেখতে দুর দূরান্ত থেকে লোক আসছে। ইতিমধ্যেই ওই ব্রিজকে কেন্দ্র করে কিছু দোকান গড়ে উঠেছে। এছাড়াও ব্রিজের কল্যাণে স্থানীয় ড্রাইভাররাও অর্থ উপার্জনের সুযোগ পেয়েছেন।
পুমুং বার্বোটের ঝুলন্ত সেতু দার্জিলিঙের গেইলে বানজিয়াং-এ অবস্থিত। গেইলে বানজিয়াং-এ ১টি মাত্র পর্যটনস্থল আছে। আর তা হল এই ব্রিজটি। জায়গাটি দার্জিলিঙের ম্যাল থেকে মাত্র ২১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ১৯১৬ সালে তৈরি হয়েছিল এই ঝুলন্ত সেতু। তবে বর্তমানে এই ঝুলন্ত সেতু দিয়ে যাতায়াত না হলেও এই সেতুটিকে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র তৈরি হয়েছে ওই এলাকায়।
তবে আনন্দের কথা হলো,পর্যটকেরা এই ঐতিহাসিক ঝুলন্ত ব্রিজ দেখে ঘুরে নিতে পারেন আশে-পাশের কয়েকটি ভালো জায়গা। আশেপাশে ঘোরার জায়গাগুলি হল রংলির রংলিয়ত চা বাগান, তাকদাহ চা বাগান। এছাড়াও ওয়াটারফলও আছে। দার্জিলিঙে ঘুরতে এলে বর্তমানে এই ব্রিজ দেখতে বহু মানুষ দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসছে। এই ব্রিজকে কেন্দ্র করে স্বনির্ভর হয়ে উঠছে স্থানীয়রা। এলাকার মানুষের আশা আগামীদিনে এই ব্রিজ আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। যার হাত ধরে গোটা এলাকার আর্থসামাজিক পরিবেশ বদলে যাবে বলে মনে করছেন পাহাড় বিশেষজ্ঞরা। তবে এক্ষেত্রে সরকারকে এগিয়ে এসে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে বলেও তাঁরা জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে এই শতাব্দী প্রাচীন ব্রিজটি রক্ষণাবেক্ষণেরও প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাই দার্জিলিং থেকে এই ঝুলন্ত ব্রিজ দেখতে ভুল করবেন না কিন্তু।