Life Style News

7 hours ago

Health Alert: এই রক্তের গ্রুপে স্ট্রোকের আশঙ্কা বেশি!আপনার গ্রুপ কী সেই তালিকায়? জেনে নিন সতর্ক থাকার উপায়

blood type and stroke
blood type and stroke

 

দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক : "রক্তের গ্রুপ আর ব্রেন স্ট্রোক—দুটোর মধ্যে আদৌ কোনও সম্পর্ক আছে?"—প্রথমে শুনে এমনটাই ভাবতে পারেন। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে ভিন্ন কথা। সাম্প্রতিক গবেষণা জানাচ্ছে, রক্তের গ্রুপের সঙ্গে ব্রেন স্ট্রোকের রয়েছে এক গভীর যোগসূত্র, যা অবহেলা করলে হতে পারে বিপজ্জনক পরিণতি।"

"একটি নির্দিষ্ট রক্তের গ্রুপ যদি আপনার হয়, তাহলে সাবধান হোন এখনই—কারণ গবেষণা বলছে, কম বয়সেই ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, প্রতি বছর পৃথিবীজুড়ে অন্তত দেড় কোটির বেশি মানুষ এই প্রাণঘাতী স্ট্রোকে আক্রান্ত হন!"বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) সমীক্ষা তেমনই বলছে। এর মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ লাখ ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর শরীর পক্ষাঘাতে পঙ্গু হয়ে যায়। স্ট্রোক আচমকাই আসে, কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিপদ ঘটে যায়। স্ট্রোক কী ভাবে প্রতিরোধ করা যাবে, সে নিয়ে গবেষণা চলছেই। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা জানাচ্ছে, রক্তের গ্রুপের সঙ্গে ব্রেন স্ট্রোকের যোগসূত্র খুঁজে পাওয়ার পরে, সেটিই স্ট্রোক প্রতিরোধের হাতিয়ার হতে পারে। কিন্তু কী ভাবে?

আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অফ মেরিল্যান্ড স্কুল অফ মেডিসিনের গবেষকেরা খুঁজে বার করেছেন রক্তের গ্রুপ যদি ‘এ’ হয়, তা হলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি হবে, ‘ও’ গ্রুপ আবার সে দিক থেকে অনেক নিরাপদ। এই গ্রুপের রক্ত হলে স্ট্রোকের ঝুঁকি তেমন থাকবে না। বাকি দুই রক্তের গ্রুপের ক্ষেত্রে স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকলেও ‘এ’ গ্রুপের মতো নয়। ‘এবি’ গ্রুপের ক্ষেত্রে আবার মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমে যাওয়া বা স্মৃতিনাশের মতো রোগ ও টিউবারকিউলোসিসের ঝুঁকি বেশি।

স্ট্রোক কি হঠাৎই হয়? এর পেছনের কারণ জানেন?

উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া-সহ নানা রিস্ক ফ্যাক্টর মস্তিষ্কের রক্তবাহী ধমনীর পথ আটকে দেয়। তখন রক্ত জমাট বাঁধতে থাকে এবং ধমনীতে রক্ত চলাচলে বাধা তৈরি করে। ফলে মস্তিষ্কের কোষ অক্সিজেনের অভাবে নিস্তেজ হতে হতে অকেজো হয়ে যায়। এই ব্যাপারটাই স্ট্রোক। সাধারণত, দু’ধরনের স্ট্রোক হয়— ইস্কিমিক ও হেমারেজিক। ইস্কিমিক স্ট্রোকে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাধা পেয়ে রক্ত জমাট বেঁধে যায়। আর হেমারেজিকে রক্তজালিকা গুলি স্ফীত হয়ে ছিঁড়ে যেতে থাকে। ফলে মস্তিষ্কের ভিতর রক্তক্ষরণ শুরু হয়।

মেরিল্যান্ডের গবেষক স্টিভেন জে কিটনার ও তাঁর টিমের তরফে জানানো হয়েছে, ৬ লক্ষের বেশি মানুষের উপর প্রাথমিক ভাবে পরীক্ষাটি করা হয়েছে। ১৭ হাজার ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীকে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, যাঁদের রক্তের গ্রুপ ‘এ’ তাঁদের ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি ১৬ শতাংশের বেশি এবং যাঁদের ‘ও’ গ্রুপের রক্ত, তাঁদের ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক কম।

স্ট্রোকের কবল থেকে নিজেকে বাঁচাবেন কীভাবে?

.তবে রক্তের গ্রুপ যা-ই হোক না কেন, স্ট্রোকের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে হলে অতি অবশ্যই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। রক্তে  শর্করার মাত্রা যাতে না বাড়ে , তা দেখতে হবে।

.ওজন স্বাভাবিক রাখা আবশ্যক, রোজ নিয়ম করে অন্তত আঁধ ঘণ্টা হাঁটা বা শরীরচর্চা করতেই হবে।

.পরিবারে ব্রেন স্ট্রোকের ইতিহাস থাকলে বয়স ত্রিশ পেরনোর পরেই সুগার, প্রেশার, ও কিছু রক্ত পরীক্ষা করিয়ে রাখতে হবে।

.ধূমপান, মদ্যপান কমিয়ে ফেলতে পারলেই ভাল, সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।

.কয়েক মিনিটের জন্য জিভ অসাড়, কথা বলতে না পারা, হাত বা পা অসাড় হয়ে যাওয়া অথবা চোখে অন্ধকার দেখার মতো  ঘটনাকে চিকিৎসার পরিভাষায় বলে ‘ট্র্যানসিয়েন্ট ইসকিমিক অ্যাটাক’ বা ‘টিআইএ’। একে মিনি স্ট্রোকও বলা হয়। এমন  হলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।


You might also like!