দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের একজন জনপ্রিয় বিচারক ফ্রাঙ্ক ক্যাপ্রিও আবারও আলোচনায়। সম্প্রতি এক মজার ঘটনা ঘটেছে তাঁর আদালতে, যা এখন ইন্টারনেটে ভাইরাল। ঘটনাটি ছিল এক সাধারণ ট্রাফিক মামলার শুনানি, কিন্তু শুনানির মাঝেই এমন এক মুহূর্ত আসে, যা সবাইকে হাসিয়ে তোলে।
ঘটনার মূল চরিত্র ছিলেন এক দম্পতি — লিন্ডা ফিল্ডস ও তাঁর স্বামী। অভিযোগ ছিল, লিন্ডার গাড়ি ট্রাফিক নিয়ম ভেঙেছে, তাই তাঁকে আদালতে ডাকা হয়। কিন্তু শুনানিতে লিন্ডা বিচারককে বলেন, “এই টিকিট আমি করিনি, আমার স্বামী গাড়ি চালাচ্ছিল।” সঙ্গে সঙ্গে বিচারক ক্যাপ্রিও হেসে বলেন, “তাহলে আপনি আজ তাঁকে ‘বাসের নিচে ফেলে’ দিচ্ছেন?” লিন্ডা তৎক্ষণাৎ হেসে বলেন, “না, আমি নিজেকে ফেলিনি!” এই কথোপকথনে পুরো আদালত হাসিতে ভরে ওঠে। এমনকি বিচারক ক্যাপ্রিও নিজেও বেশ কিছুক্ষণ ধরে হাসতেই থাকেন। শেষ পর্যন্ত তিনি মামলাটি হালকাভাবে নেন এবং সহজভাবে মিটিয়ে দেন।
এই বিচারক অনেকদিন ধরেই এমন মানবিক ও হাস্যরসাত্মক বিচার দেওয়ার জন্য পরিচিত। তাঁর একটি টিভি শো আছে, নাম “Caught in Providence”, যেখানে সাধারণ মানুষদের ছোটখাটো ট্রাফিক মামলা নিয়ে তিনি শুনানি করেন। সেখানে অনেক সময়ই হাসি-মজার মুহূর্ত তৈরি হয়, আর বিচারক ক্যাপ্রিও মানুষকে শুধু আইন দিয়ে নয়, মন দিয়ে বোঝেন। এই ঘটনাটির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই বিচারকের মানবিকতা ও হাসিখুশি মনোভাবের প্রশংসা করেছেন। অনেকে বলছেন, আদালত মানেই যে কড়া মুখ আর ভয়—তা এই বিচারকের বিচারালয় একেবারে ভুল প্রমাণ করে দিয়েছে।
বিচারক ফ্রাঙ্ক ক্যাপ্রিও অনেক বছর ধরে এই কাজ করছেন। তিনি শুধু একজন বিচারক নন, একজন দয়ালু মানুষ হিসেবেও পরিচিত। তিনি মনে করেন, আইনের পাশাপাশি মানুষকে বোঝা এবং তাঁদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া খুবই জরুরি। এই ছোট্ট ঘটনাটি প্রমাণ করে দিল, আদালতেও হাসির জায়গা থাকে, যদি বিচারক হন ক্যাপ্রিওর মতো মানবিক ও হাসিখুশি একজন মানুষ।