দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ এবার দিঘার থেকেও কম সময়ে পৌঁছনো যাবে পুরী, পুরীতে শ্রী জগন্নাথ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর তৈরির পরিকল্পনা করেছে ওডিশা সরকার। সূত্রের খবর, অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে জমির জন্য় প্রাথমিক ছাড়পত্র মিলেছে। বিমানবন্দর তৈরির অনুমতি চেয়ে এক বছর আগে সরকার জমা করেছিল সব প্রয়োজনীয় নথি।
প্রসঙ্গত, গ্রীনফিল্ড এয়ারপোর্টস নীতি ২০০৮ অনুযায়ী বিমানবন্দর তৈরির ছাড়পত্র চাওয়া হয় মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য রাজ্য সরকারকে বিশদ রিপোর্ট প্রস্তুত করতে নির্দেশ দিয়েছে। দুই বছরের মধ্যে গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দরের স্টিয়ারিং কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ডিপিআর সহ জমা দিতে হবে তার আবেদন।
প্রাথমিক অনুমান, বিমানবন্দরটি তৈরি করতে খরচ হবে প্রায় ৫ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই পুরী জেলা প্রশাসন জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই ব্রহ্মগিরি তহসিলের অধীনে সিপাসরুবালি এবং সন্ধাপুরে ৬৮ একর বনভূমি এবং ২২১.৪৮ একর ব্যক্তিগত-সহ প্রায় ১,১৬৪ একর জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত জমির মধ্যে সিপাসরুবালিতে রয়েছে ১৫৩.৩৭ একর জমি ও সন্ধ্যাপুরে রয়েছে ৬৮.১১ একর জমি। তবে পুনর্বাসনের প্রয়োজন নেই কারণ এই জমিগুলিতে কোনও বাসস্থান নেই।জমিগুলি সনাক্তকরণের পর প্রজেক্টের প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে। বিমাবন্দর গড়ে তোলার জন্য জমিগুলির অনুকূল পরিস্থিতির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। ব্যক্তিগত জমি অধিগ্রহণের গণশুনানি শেষ হয়েছে। কিছু সরকারি জমি রূপান্তরের প্রক্রিয়াও চলছে। সাইট ক্লিয়ারেন্সের অনুমোদনের জন্য এতদিন অপেক্ষা করা হচ্ছিল। সেই অনুমোদন পাওয়ার পর অন্যান্য প্রক্রিয়াগুলি আরও দ্রুততার সাথে হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। নীতিগত অনুমোদন অর্থাৎ চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার জন্য সরকারকে সমস্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং সরকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে প্রয়োজনীয় নথিপত্র পাঠানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। সময় মতো সবকিছু শেষ হলে আগামী বছরের শুরুতে বিমানবন্দর তৈরির কাজ শুরু হতে পারে সূত্রের খবর।
পুরীকে একটি বিশ্বমানের ঐতিহ্যবাহী শহর হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। বছরভর বহু পর্যটকের সমাগম হয় পুরীতে। সেই কথা বিবেচনা করে পর্যটকদের সুবিধার্থে ২০২১ সালে ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক পুরীতে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্থাপনের আর্জি জানিয়েছিলেন। চলতি বছরের নভেম্বর দিল্লি সফরের সময় পট্টনায়েক মোদীর কাছে ফের একবার বিষয়টি উত্থাপন করেন। প্রক্রিয়াটি ত্বরানিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান।পুরীতে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরিতে প্রধানমন্ত্রীর সায় থাকায় ও সেই কাজকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে প্রক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর সমর্থন পাওয়ায় আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ের। তাঁর আশা, তিন থেকে চার বছরের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে বিমানবন্দর। বিমানবন্দর তৈরি হলে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্বোধনের জন্য আগাম আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।