
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক; শরীর, ত্বক আর চুল—সব কিছুর সুস্বাস্থ্য লুকিয়ে আছে আমাদের ঘরোয়া উপাদানেই। চুল পড়া, পাতলা হয়ে যাওয়া বা রুক্ষ হয়ে যাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এখন অনেকেই হেঁশেলের উপকরণেই খুঁজছেন সমাধান। তবে চুলের যত্নে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয় দুটি উপাদান নিয়ে—দুধ আর দই। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়, কোনটি আসলে বেশি উপকারী? চুলের পুষ্টি ও যত্নে দুধ আর দইয়ের মধ্যে পার্থক্যই বা কোথায়? জেনে নিন বিস্তারিত।
* চুলের যত্নে দুধের ভূমিকা: দুধ প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন-সমৃদ্ধ। এই উপাদানগুলি চুলকে মজবুত করে। চুলের যত্নে দুধ ব্যবহার করলে সেটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। উপরন্তু, দুধের ল্যাকটিক অ্যাসিড মাথার ত্বক থেকে ময়লা দূর করতে সাহায্য করে। ফলে প্রতিটি চুল রেশমের মতো মসৃণ হতে পারে। শুষ্ক, রুক্ষ চুলের জন্য দুধ খুব কার্যকর, কারণ প্রাকৃতিক ভাবে চুলকে পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজ় করতে পারে। তবে দুধ চুলের বৃদ্ধিতে বা নতুন চুল জন্মানোর ক্ষেত্রে তেমন সক্রিয় নয়। এটি প্রধানত চুলকে ঘন ও উজ্জ্বল করে তোলার কাজে ব্যবহৃত হয়। অনেকেই দুধের সঙ্গে মধু ও কলা মিশিয়ে মাথায় লাগান। অ্যালো ভেরা আর দুধ মিশিয়ে মাখলেও উপকার পাওয়া যেতে পারে।
* চুলের যত্নে দইয়ের ভূমিকা: দই-তে রয়েছে প্রোবায়োটিক, ভিটামিন বি৫, প্রোটিন ও জ়িঙ্ক, যা চুল ও মাথার ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রোবায়োটিক অর্থাৎ উপকারী ব্যাক্টেরিয়া মাথার ত্বককে প্রাকৃতিক ভাবে পরিষ্কার রাখে। মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে ও চুলের গোড়া মজবুত করে। এর ফলেই নতুন চুল গজানোর সম্ভাবনা বাড়ে। মাথার ত্বককে ঠান্ডা রাখে বলে খুশকির সমস্যা থেকেও রেহাই মেলে। চুল পড়া কমাতে ও নতুন চুল তৈরিতে দুধের তুলনায় বেশি কার্যকর দই। দইয়ের সঙ্গে আমলকি, মেথি, নারকেল তেল মিশিয়ে উপকারী হেয়ার মাস্ক বানিয়ে নিতে পারেন বাড়িতেই।
কোনটি বেছে নেবেন?
উদ্দেশ্য যদি হয় উজ্জ্বল চুল, তা হলে দুধ মাখাই ভাল। কিন্তু যদি চুল ঝরা কমাতে, মাথার ত্বক ভাল রাখতে ও নতুন চুল গজাতে চান, তা হলে দই বেশি উপকারী। তবে সবচেয়ে ভাল ফল পেতে, দুধ ও দই একসঙ্গে ব্যবহার করা যেতে পারে।
