kolkata

1 day ago

Nabanna Notification: নবান্নের কড়া বার্তা,‘আমাদের পাড়া’ প্রকল্পে থাকতেই হবে প্রধান থেকে বিধায়ককে!

Nabanna
Nabanna

 

দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: নবান্নের কড়া বার্তা: ‘আমাদের পাড়া’ প্রকল্পে থাকতেই হবে প্রধান থেকে বিধায়ককে আগামী ২ অগস্ট থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হচ্ছে ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি। মুখ্যসচিবের নির্দেশে প্রতিটি শিবিরে বাধ্যতামূলকভাবে উপস্থিত থাকতে হবে পঞ্চায়েত প্রধান, সদস্য, বিধায়ক ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের। এলাকাবাসীর মত অনুযায়ী ঠিক হবে কাজের তালিকা।

রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের একাংশ মনে করছেন, এই ধরনের অংশগ্রহণমূলক প্রশাসনিক উদ্যোগ সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থা বাড়াবে, এবং এলাকাভিত্তিক বাস্তব সমস্যা চিহ্নিত করে দ্রুত সমাধানের পথ তৈরি করবে। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে এই প্রকল্পের তদারকির মাধ্যমে প্রতিটি জেলার প্রশাসনিক তৎপরতাও আরও গতিশীল হবে বলেই আশাবাদী নবান্নের শীর্ষ আধিকারিকেরা। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্য সরকার এই কর্মসূচির মাধ্যমে যেমন জনসংযোগ দৃঢ় করতে চাইছে, তেমনই নিচুতলার মানুষদের অংশগ্রহণ বাড়িয়ে প্রশাসনের প্রতি বিশ্বাসযোগ্যতা গড়ে তুলতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী বছর তৃণমূলের প্রতিনিধিরা বিধানসভা নির্বাচনে সাধারণ মানুষের কাছে ভোট চাইতে যাবেন, তার আগে নিজেদের দাবি দেওয়া সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এলাকার মানুষ যদি জনপ্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করার সুযোগ পান, তাহলে পারস্পরিক সম্পর্ক দৃঢ় হতে পারে। আর সেই ফসল ভোটের বাক্সে প্রতিফলিত হতে পারে বলেই মনে করছে শাসকদলের একাংশ। তাই সর্ব স্তরের জনপ্রতিনিধিদের ময়দানে নামিয়ে জনসংযোগ নিবিড় করার কৌশলে নয়া এই প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনটাই মত রাজ্যের শীর্ষ আধিকারিকদের একাংশের।

তবে পঞ্চায়েত দফতরের আধিকারীদের কথায়, ‘‘এই কর্মসূচির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, বুথভিত্তিক বাসিন্দারাই ঠিক করবেন, তাঁদের এলাকায় কোন কাজকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সরকারি স্তরে আর নির্ধারণ করা হবে না প্রয়োজনীয় প্রকল্প। বরং এলাকা ভিত্তিক শিবিরে বসে সিদ্ধান্ত নেবেন এলাকার মানুষ, জনপ্রতিনিধি ও সরকারি আধিকারিকেরা।’’ প্রত্যেকটি এলাকা থেকে যে সমস্ত প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে, সেগুলি ১৫ জানুয়ারির মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে, প্রকল্প গ্রহণ থেকে কাজ শেষ করা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই সম্পন্ন হবে, এমনই আশা প্রশাসনের। তবে একটি এলাকায় ১০ লক্ষ টাকার বেশি মূল্যের কাজের প্রস্তাব এলে, সেটি ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ প্রকল্পের আওতায় পড়বে না। বরং সংশ্লিষ্ট দফতরের মাধ্যমে তা বাস্তবায়িত হবে। এই নীতি কার্যকর করে প্রকল্পে স্বচ্ছতা ও বাস্তবতা বজায় রাখার চেষ্টা করেছে রাজ্য প্রশাসন। শিবিরে উপস্থিত প্রত্যেক নাগরিকের নাম রেজিস্ট্রার খাতায় নথিভুক্ত করা বাধ্যতামূলক। এর ফলে প্রকৃত অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা জানা যাবে, এবং তাঁদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে। সার্বিক ভাবে ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ প্রকল্পটি রাজ্যবাসীর সক্রিয় অংশগ্রহণ ও গণতান্ত্রিক চর্চার একটি মডেল হয়ে উঠতে পারে, এমনটাই মনে করছে প্রশাসনিক মহল।

You might also like!