কলকাতা, ২২ জুলাই : অনুপ্রবেশকারী নিয়ে ফের তোপ দাগলেন প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়। বাঙালিরা নিজের স্বার্থেই অনুপ্রবেশকারীদের চিনিয়ে দেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করলেন তিনি। মঙ্গলবার তথাগতবাবু এক্সবার্তায় লিখেছেন, “প্রবাসী বাঙালিরা নিজের স্বার্থেই রোহিঙ্গিয়া ও অন্যান্য বাংলাদেশী মুসলমান ঘুসপেট চিনিয়ে দিচ্ছেন। এই পদক্ষেপ স্বাগত।” প্রসঙ্গত, অতি সম্প্রতি তথাগতবাবু অপর একটি এক্সবার্তায় লিখেছিলেন, “বাঙালি মুসলমানেরা পূর্ব পাকিস্তানে ও বাংলাদেশে আনুমানিক পঞ্চাশ হাজার বাঙালি হিন্দুকে খুন করেছে, অগণিত বাঙালি হিন্দু মেয়েদের ধর্ষণ ও অপহরণ করেছে, এক কোটির উপর বাঙালি হিন্দুকে তাড়িয়ে পথের ভিখারি করেছে সেই বাঙালি মুসলমানের সমর্থনে মমতা-অভিষেক রাস্তায় নেমে তামাশা দেখিয়েছে। এর মধ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানরাও রয়েছে, যারা বাংলাদেশেও ঘৃণিত, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে স্বাগত।
এখন প্রশ্ন, কেন মমতার এই বিচিত্র আচরণ? এর কারণ, অতিরিক্ত মুসলমান তোয়াজের ফলে বাঙালি হিন্দুর মত তৃণমূলের বিপরীতে ঘুরে গেছে। এখন মমতা করেন কী ? একমাত্র উপায়, এটাকে ঘুরিয়ে দেখাতে হবে যে অন্য রাজ্যে যে রোহিঙ্গিয়া ও অন্যান্য বাংলাদেশী মুসলমানদের চিহ্নিতকরণ ও ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলেছে তাকে বাঙালি-বিরোধী পদক্ষেপ বলে দেখানো, যদি এতে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি হিন্দুর সহানুভূতি পাওয়া যায়। কিন্তু এতে চিঁড়ে ভিজবে না। পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী, যিনি নন্দীগ্রামে সরাসরি লড়াইতে মমতাকে হারিয়েছিলেন, দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশী চিহ্নিতকরণ প্রক্রিয়া চলবেই, পশ্চিমবঙ্গেও চলবে। বস্তুত, সেটা বন্ধ করার ক্ষমতা মমতারও নেই। তিনি শুধু নিজের রাজ্যে আবোলতাবোল বকে নিজের দুর্নীতি আর মুসলমান তোষণ থেকে নজর ঘোরাবার চেষ্টা করতে পারেন।”
প্রবাসী বাঙালিরা নিজের স্বার্থেই রোহিঙ্গিয়া ও অন্যান্য বাংলাদেশী মুসলমান ঘুসপেট চিনিয়ে দিচ্ছেন। এই পদক্ষেপ স্বাগত।
— Tathagata Roy (@tathagata2) July 21, 2025