দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক :ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধন বা SIR ইস্যু দেশজুড়ে উত্তেজনা তৈরি করেছে। বিরোধীরা মনে করছেন, বিহারের ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপের পেছনে কেন্দ্রীয় সরকারের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র কাজ করছে। বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই জোরালো প্রতিবাদ শুরু করেছে, অভিযোগ করছে আসল ভোটারের নাম বাদ দিয়ে ভুয়ো ভোটার ঢোকানো হচ্ছে। জনসচেতনতার অংশ হিসেবে শাসকদলের নেতারা বারবার সতর্ক করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাদিবসের সভা থেকে বললেন, “সারা ভারত থেকে ৫০০টি দল পাঠিয়েছে বিজেপি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখা হচ্ছে কার নাম বাদ দেওয়া যায়। কেউ সার্ভে করতে এলে, কখনও নিজের তথ্য দেবেন না।”
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার নামে আপনার সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য নিয়ে গিয়ে দেখবেন, আপনার নাম বাদ দিয়ে দেবে। নিজের ভোটার কেন্দ্রে গিয়ে দেখবেন, নামটা আছে কি না। আধার কার্ডটা করে রাখুন। আধার কার্ডটা বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছে। ললিপপ সরকার বিডিও, এসডিও, ডিএম-দের ভয় দেখাচ্ছে। বলছে, চাকরি খেয়ে নেব, নয় জেলে পুরে দেব। নির্বাচন কমিশন আসে আর যায়। সারাবছর কিন্তু রাজ্য সরকারের হাতে সব থাকে। গায়ের জোরে কিছু হবে না এখানে। ভান্ডারা আমাদের কাছেও আছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার যেমন আছে, তেমন আপনাদের দুর্নীতির ভান্ডারাও আছে। খুলে দেব, সব ফাঁস করে দেব।”
আগেও একাধিকবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করেছেন। এদিনও তার ব্যতিক্রম হল না। কমিশন বিজেপির ‘ললিপপ’ খাচ্ছে বলে এদিনও কটাক্ষ শোনা গেল তাঁর মুখে। বললেন, ”নির্বাচন এলেই দেখবেন এজেন্সির দাপাদাপি বাড়ে। আগে কখনও কোনও কেন্দ্রীয় এজেন্সি বিজেপি করত না। কোনও রাজনৈতিক দলই করত না। এখন দেখছি এসব হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের চেয়ারকে আমি সম্মান করি। কিন্তু জানেন তো, বাচ্চারা ললিপপ খেলে মানায়। কিন্তু বড়রা যদি কোনও পার্টির হয়ে ললিপপ খায়, সেটা মানায় না।”