কলকাতা, ২০ ফেব্রুয়ারি : “সৎসাহস থাকলে কন্ঠস্বরের নমুনা দিতে রাজি হোক সিপিএমের কলতান দাশগুপ্ত।” বৃহস্পতিবার এক্সবার্তায় এই মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। কুণাল লিখেছেন, “আর জি কর কাণ্ডের কুৎসাপর্বে জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্নামঞ্চে হামলা করিয়ে তৃণমূল দল ও সরকারকে চরম বিড়ম্বনায় ফেলার চক্রান্ত হয়েছিল। এ সংক্রান্ত একটি ফোনের অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে আসে। আমিও বিবৃতি দিয়েছিলাম। সিপিএমের কলতানের গলা ছিল ওটি, চক্রান্তকারীর ভূমিকায়।
কলতান গ্রেপ্তার হয়, পরে জামিন। তদন্ত চলছে। কলতানসহ একাধিক ব্যক্তিকে পুলিশ ডাকছে। এর মধ্যে কেউ হয়ত হামলার পক্ষে ছিলেন না, কিন্তু বিষয়টা জানেন। তাঁদের সাক্ষ্য দেওয়া উচিত। সূত্রের খবর, কলতানকে পুলিশ কন্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার কথা বলেছে। কলতান এবং সিপিএমের উচিত অবিলম্বে এতে সম্মতি দেওয়া। অন্যদের কন্ঠস্বর নমুনা নিয়ে সিপিএমের এত বড় বড় কথা! নিজেদের সৎসাহসের সময় যেন উল্টো না দেখি।
অবিলম্বে কন্ঠস্বর পরীক্ষায় সম্মতি দিক কলতান। দেরি না করে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করুক পুলিশ। যদি ওর কন্ঠস্বর না হয়, তাহলে ভয়ের কী আছে???ভাবুন, ওই সময় যদি জুনিয়র ডাক্তারদের মঞ্চে সিপিএমের এই চক্রান্তের হামলা হত, যদি রক্তারক্তির খারাপ ঘটনা ঘটত, তাহলে মুখ্যমন্ত্রী, সরকার, দলের উপর দোষ চাপিয়ে কীভাবে কাঠগড়ায় তোলা হত। মিডিয়ার একাংশ আরও কী ভয়ঙ্কর শকুনের ভূমিকা পালন করত।
ঘটনাচক্রে চক্রান্ত ফাঁস হয়ে যেতে হামলা হয়নি। কিন্তু চক্রান্তকারীদের শাস্তি দরকার। কলতান নিয়ে সেসসময় সিপিএম আর তার জনভিত্তিহীন আগুনপাখিরা অনেক বড় বড় কথা বলেছে, নাটক করেছে, আমাকেও আক্রমণ করেছে। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, কন্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষায় সম্মতি দিক কলতান। যদি সৎসাহস থাকে, নাটক না করে নমুনা দিক। অবিলম্বে।”