দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকাকে কার্যত অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল। সেখানে কিছু ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। বের হতেও পারছে না কিছু। এর মধ্যেই চলছে একের পর এক হামলা। ফলে চরম মানবিক সংকটে পড়েছে গাজাবাসী।
এ পরিস্থিতিতে গাজায় জরুরি ওষুধ সরবরাহের সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এ ছাড়া একাধিক মানবাধিকার সংগঠনের আবেদন, অবরুদ্ধ গাজায় খাবার ও ওষুধ পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হোক।
তবে ইসরায়েল এসব আবেদন আমলে নিতে রাজি নয়। দেশটির দাবি, হামাসের হাতে আটক হওয়া ব্যক্তিদের আগে মুক্তি দিতে হবে।ইসরায়েলে হামলার দিন গত শনিবার বহু ফিলিস্তিনি সমুদ্রপথে, দক্ষিণ অংশের বেড়া টপকে এবং কাঁটাতার কেটে ইসরায়েলে ঢুকেছিল। গতকাল মঙ্গলবার ইসরায়েল জানিয়েছে, দক্ষিণের অংশ এখন নিরাপদ। যাঁরা ঢুকেছিলেন, তাঁদের কেউ সমুদ্রপথে, কেউবা স্থলপথে পালিয়ে গেছেন।
ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস গত শনিবার ইসরায়েলের ভূখণ্ডে মাত্র ২০ মিনিটে হাজার পাঁচেক রকেট ছুড়ে নিজেদের শক্তির জানান দেয়। ভেদ করে ইসরায়েলের নিশ্ছিদ্র সুরক্ষাবলয়কে।
শুধু তা-ই নয়, সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলে ঢুকে পড়ে হামাসের যোদ্ধারা। শুরুতে হতবাক হলেও দ্রুত পাল্টা জবাব দেয় ইসরায়েল। পাল্টা আক্রমণ করে গাজা উপত্যকায়। এর পর থেকে ফিলিস্তিনে মুহুর্মুহু বোমা পড়ছে।
পাঁচ দিন ধরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় অসংখ্য ভবন ধসে পড়েছে। দেখা দিয়েছে খাবারের চরম সংকট। অনেক জায়গায় নেই বিদ্যুৎ। সুপেয় পানির সংকটে ভুগছেন গাজাবাসী। অনেকে জীবন বাঁচাতে পরিবার নিয়ে নিরাপদ জায়গায় পালিয়েছেন। অনেকে আশ্রয়শিবিরে উঠেছেন। সেখানেও হামলা হচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গাজায় দুই শতাধিক জায়গায় বিমান হামলা চালানো হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য, ইসরায়েলি হামলায় মৃত মানুষের সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলের মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ২০০ হয়েছে।