দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃহিন্দু ক্যালেন্ডারের চতুর্থ মাস হল আষাঢ় মাস। পুরাণ অনুসারে এই মাসটি ভগবান বিষ্ণুর খুব প্রিয়। এই সময়ে দান-ধ্যান করলে এই মাসে জন্ম নেওয়া ব্যক্তিরা সারা বছর ধরে আর্থিক উন্নতিতে ফুলেফেঁপে উঠবেন। হিন্দু ত্রিমূর্তি দেবতাদের মধ্যে ভগবান বিষ্ণু হলেন দ্বিতীয় দেবতা। তিনি হলেন মহাবিশ্বের রক্ষক। বিষ্ণু দেবতা আলোর সাথে, বিশেষ করে সূর্যের সাথে যুক্ত থাকেন। তাঁর উপাসনা করলে আষাঢ় মাসে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান হয়ে থাকেন।
ইংরেজির জুন মাসের ১৭ তারিখ শুরু হচ্ছে বাংলার আষাঢ় মাস, চলবে ইংরেজির ১৭ জুলাই পর্যন্ত। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, আষাঢ় মাসে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিরা খুব শান্ত হন এবং নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করেন। এই ধরনের মানুষরা অন্যদের প্রভাবিত করতে পারদর্শী। আষাঢ়ে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিরা বুদ্ধিমান এবং অত্যন্ত পরিশ্রমী হন। এই ধরনের মানুষরা প্রেমের সম্পর্কে খুব সংবেদনশীল হন। এঁরা বন্ধুদের সাথে এগিয়ে যেতে পছন্দ করেন। ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করেন। ধর্মীয় স্থানে যেতেও ভালোবাসেন। জীবনের অধিকাংশ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে খুব ভাবনাচিন্তা করলেও এঁরা অনেক সময়েই খুব দোনোমনায় ভোগেন।
আষাঢ় মাসে জন্মগ্রহণকারীদের ওপর ভগবান বিষ্ণুর প্রভাব থাকলেও তাঁর কৃপা পাওয়ার জন্য বিশেষ কয়েকটি নিয়ম পালন করতে হয়। এই নিয়মগুলি হল:
প্রত্যেকদিন সকালে অথবা সন্ধ্যায় নিয়ম করে ৩ বার শঙ্খ বাজানো। শঙ্খের ধ্বনি 'ওম' উৎপন্ন করে। 'ওম' হল সৃষ্টির আদি ধ্বনি।
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর অন্তত ১৫ মিনিট ধরে ধ্যান করা আবশ্যিক। এই ধ্যানের সময় ভগবান বিষ্ণুর হাতের ঘুরন্ত চক্রটি মনের ভেতরে কল্পনা করা প্রয়োজন। বিষ্ণুর চক্র হল মানুষের মনের প্রতীক।
প্রতিদিন স্নান করে উঠে হলুদ রঙের পোশাক পরুন। এরপর হলুদ রঙের ফুল দিয়ে বিষ্ণুদেবের পুজো করুন। পুজোর সময় ভগবানের গলায় তুলসীর মালা অথবা চন্দনের মালা পরান।
পুজোর নৈবেদ্য হিসেবে হলুদ রঙের মিষ্টি অর্পণ করুন।
দুই হাতে জল নিয়ে তার ওপর ফুল ও অল্প একটু চাল রেখে ভগবানের সামনের নিজের মনোবাঞ্ছার কথা বলুন এবং তারপর সেটি বিষ্ণুর পায়ে অর্পণ করুন।
আষাঢ় মাসে এই কয়েকটি নিয়ম পালন করলেই আপনার ওপর বিষ্ণুদেবতার কৃপা হবে এবং আপনি সৌভাগ্যের অধিকারী হবেন।