দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ আমাদের মধ্যে যারা খাদ্যরসিক, তাঁদের অনেকেরই পাতে ঘি অথবা মাখন না রাখলে ঠিক জমে ওঠে না। তবে কেউ ঘি বেশি পছন্দ করেন আবার কেই মাখন। তবে এই দুটি জিনিস খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করার ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা একটু সমঝে চলতে বলেন।
দুটি দুগ্ধজাত খাবার কি শরীরের জন্য আদৌ উপকারী? নাকি ঘি এবং মাখন খেলে একাধিক রোগের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কাই বাড়ে? এছাড়া এই দুটির মধ্যে আবার কোনটা বেশি স্বাস্থ্যকর?
পুষ্টির ভাণ্ডার ঘি
জানলে অবাক হবেন, ঘিয়ে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন কে, কোলিন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো উপদান। আর এইসব উপাদান কিন্তু শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তবে মনে রাখবেন, এই দুগ্ধজাত খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট যা কিনা হার্টের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়া ঘি খাওয়া উচিত হবে না।
মাখনও কিছু কম নয়
ঘিয়ের মতোই মাখনেও রয়েছে ভিটামিন, খনিজ এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভাণ্ডার। তাই যুগের পর যুগ ধরে আমাদের দেশে মাখন খাওয়ার চল রয়েছে।
তবে মনে রাখবেন, এই দুগ্ধজাত খাবারও কোলেস্টেরল এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাটের আঁতুরঘর। আর এই দুই উপাদান হার্টের ক্ষতি করার কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই প্রায়শই মাখন খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা চটজলদি শুধরে নেওয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
ঘি নাকি মাখন কোনটি বেশি উপকারি
এই প্রশ্নের উত্তরে কোয়েল পাল চৌধুরি জানালেন, ঘি বা মাখন- দুটোর থেকেই দূরে থাকা উচিত। কারণ এই দুই দুগ্ধজাত খাবারই হল কোলেস্টেরল এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাটের খনি। আর এই দুই উপাদান হার্ট সহ শরীরের একাধিক অঙ্গের ক্ষতি করার ক্ষমতা রাখে। তাই চেষ্টা করুন ঘি-মাখনের থেকে সমদূরত্ব বজায় রাখার।
তবে একান্তই যদি এই দুটির মধ্যে কোনও একটিকে বেছে নিতে হয়, সেক্ষেত্রে ঘিয়ের বদলে মাখন খেতে পারেন। কারণ ঘিয়ের তুলনায় মাখনে স্যাচুরেটেডে ফ্যাট এবং টোটাল ক্যালোরি কিছুটা হলেও কম রয়েছে। তাই সুস্থ থাকতে ঘিয়ের বদলে মাখন খাওয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
কতটা খাবেন?
প্রতিদিন ঘি-মাখন খাওয়া উচিত হবে না। এমনকী রান্নায় ঘি এবং মাখন ব্যবহারের অভ্যাসও বদলে নিতে হবে। তবেই সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে পারবেন।
তবে মাঝে সাঝে দিনে ১ টেবিল চামচ মাখন বা ঘি খেতেই পারেন। তাতে শরীরের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না বললেই চলে। তাই এই নিয়মটা অবশ্যই মেনে চলার চেষ্টা করুন।