দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ করোনা আবহের পর থেকে মাথা পিছু চা খাওয়ার পরিমাণ বেরেছে। বছরে মাথাপিছু সাতশো গ্রাম চা খেত বাঙালি। এখন তা আটশো সাতান্ন গ্রাম।আঠারো থেকে পঁচিশ এই বয়সসীমার মধ্যে এখনও চা খাওয়ার প্রচলন অতটা নেই। তারা বরং শীতল পানীয় কফিতেই মজে। এঁদের আরও বেশি করে চা খাওয়ার জন্য উৎসাহিত করতে হবে। কোভিডে গলা খুসখুস, সর্দি-কাশি গা সওয়া ছিল। চা সেখানে উপশমের কাজ করেছে।
শুক্রবার শহরের পাঁচতারা এক হোটেলে হাজির ছিলেন শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশ, নেপালের ছোট চা বাগানের প্রতিনিধিরাও। হাজির ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, ভারতীয় টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সৌরভ পাহাড়ি। ছোট চা বাগানের সমস্যা অগুনতি। বৃহৎ পুঁজির বড় চা বাগানগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পেরে ওঠে না ছোট চা বাগানগুলি। অথচ তারা না থাকলে সস্তায় চা পেত না নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্তরা।
প্রসঙ্গত, দেশের মোট উৎপাদিত চায়ের পঞ্চাশ শতাংশই আসে ছোট চা বাগান থেকে। ছোট চা বাগানগুলির কথা ভেবে ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন এবং সলিড্যারিডাড ২০১৯ সাল থেকে যৌথভাবে শুরু করেছে এক অনুষ্ঠান। পদক্ষেপের নাম ট্রিনিটি। বাংলার প্রায় ৫০ হাজার চা শ্রমিককে ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে।