দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ হাতে গোনা আর কয়েক দিন তারপরই শহর বাসী মেতে উঠবে দেবী বন্দনায়, অন্যান্য বছর এই সময় প্রতিটি পুজোয় মণ্ডপ তৈরির ব্যস্ততা থাকে চোখে পড়ার মত। তবে এবার সেই ছবি কিছুটা হলেও অপ্রতুল,বৃষ্টির কারনে কাজ চলছে একেবারে ঢিমেতালে। কোনও পুজো কমিটি মাঠ শুকোনোর অপেক্ষা করছে। কোথাও আবার চিন্তা, পুজোতেও টানা বৃষ্টি হলে মণ্ডপে জল ঢুকে যাবে না তো? এ হেন আবহাওয়ার কারণে সময়ে কাজ শেষ করা নিয়ে অনিশ্চয়তার পাশাপাশি বাজেট বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও করছেন কেউ কেউ।
পুজোর মাসখানেক বাকি থাকলেও আজকাল মহালয়ার পর থেকেই শুরু হয়ে যায় উদ্যাপন। অধিকাংশ পুজোরও তাড়াতাড়ি উদ্বোধন হয়ে যায়। কিন্তু আবহাওয়ার যা পরিস্থিতি, তাতে মহালয়ার মধ্যে মণ্ডপের কাজ শেষ করা নিয়ে সন্দিহান পুজোকর্তাদের অনেকেই। শরতের নীল আকাশের বদলে এখন সারা দিনই কালো মেঘের ঘনঘটা। সেই সঙ্গে দফায় দফায় বৃষ্টি। বুধবারের পরে বৃহস্পতিবারও বৃষ্টি হয়েছে শহরে। এমন আবহাওয়ার পরিবর্তন কবে হবে, তা জানাতে পারছে না হাওয়া অফিসও।
টানা বৃষ্টিতে মাঠে কাদা জমে যাওয়ায় মণ্ডপের বাইরের অংশে কাজ করা যাচ্ছে না দক্ষিণ কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কের পুজোয়। তাই আপাতত বাইরের কাজ বন্ধ রেখে ভিতরের কাজ শেষ করায় জোর দিয়েছেন উদ্যোক্তারা।একটু বৃষ্টি হলেই এলাকায় জল জমে যায়। তাই আবহাওয়া চিন্তা বাড়িয়েছে দমদম পার্ক তরুণ সঙ্ঘের পুজোকর্তাদেরও। বৃষ্টির জেরে বাজেট কিছুটা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন উদ্যোক্তারা।টানা বৃষ্টিতে কার্যত একই সমস্যা কুমোরটুলি পার্ক, গৌরীবেড়িয়া সর্বজনীন, হাতিবাগান সর্বজনীন-সহ শহরের একাধিক পুজোর।
সময়ে কাজ শেষ করতে মণ্ডপ চত্বরে বিকল্প ব্যবস্থাও করেছে একাধিক পুজো কমিটি। ত্রিপলের ছাউনি তৈরি করে জোরকদমে কাজ চলছে সুরুচি সঙ্ঘে।আবার বৃষ্টির কথা ভেবে আগে থেকেই গোটা মাঠে ছাউনি দিয়ে কাজ শুরু করেছিল চেতলা অগ্রণী।