দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- ৯০-র দশকে অসাধারণ অভিনয় এবং সৌন্দর্যে মন কেড়েছিলেন সকলের। অক্ষয় কুমার থেকে অজয় দেবগণ, সমস্ত তাবড় তাবড় আভিনেতার সাথে কাজ করেছেন এই অভিনেত্রী। কিন্তু জীবনের একটি ভুল চালেই বদলে যায় অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জীবন।
মডেলিং দিয়ে কেরিয়ার শুরু অভিনয় জীবন। ১৯৯২ সালে 'তিরঙ্গা' ছবির হাত ধরে গ্ল্যামার জগতে অভিষেক হয় মমতার। অভিনেত্রীর ঝুলিতে রয়েছে 'আশিক আওয়ারা', 'চায়না গেট', 'ওয়াক্ত হামারা হ্যায়', 'ক্রান্তিবীর', 'করণ অর্জুন', 'সবসে বড়া খিলাড়ি', 'আন্দোলন', 'বাজি'-র মতো একাধিক হিট ছবি। মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে 'ভাগ্য দেবতা' নামের একটি বাংলা ছবিতেও অতিথি শিল্পী হিসাবে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ৯০-এর দশকেও টপলেস হওয়ার সাহস দেখিয়েছিলেন তিনি। বোতাম খোলা জিন্স, শরীরের ওপরের অংশ খোলা। হাতের কায়দায় ঢাকা বক্ষযুগল। ছবি মুক্তি পেতেই ঝড় উঠেছিল বলিউডে। পরে ক্ষমাও চাইতে হয় তাঁকে। এখানেই বিতর্কের শেষ নয়। চায়না গেট ছবির শুটিং চলাকালীন পরিচালক রাজকুমার সন্তোষীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন মমতা। যদিও পরিচালক সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁর চর্চিত স্বামী ভিকি ছিলেন আন্তর্জাতিক ড্রাগ লর্ড। ফলে আন্তর্জাতিক মাদক চক্রে জড়িয়েছিলেন মমতাও। পুলিশ যখন ভিকিকে হেফাজতে নেয়, তখন মমতার নামও উল্লেখ করা হয়। মাদক কাণ্ডে নাম জড়িয়ে শেষ হয়ে যায় মমতার জীবন। ভিকির সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথা কোনওদিনই স্বীকার করেননি মমতা। মমতা কুলকার্নির চেহারা এখন অনেকটাই বদলে গিয়েছে। এই সুন্দরী অভিনেত্রীর জীবনধারাও পুরোপুরি বদলে গিয়েছে। অভিনেত্রীর ওজন বেড়েছে। রূপচর্চার প্রতিও আগ্রহ হারিয়েছেন তিনি। এখন তিনি অভিনয় থেকে অনেকটাই দূরে। তবে তিনি কি করেন, সেই বিষয়ে জানেন না কেউই।