দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ শীতের শেষে বসন্ত এসে উপস্থিত আমাদের দরজায়।বসন্তকে 'ঋতুরাজ' বলা হয়। বসন্তকাল কম-বেশি সকলের প্রিয়। কিন্তু সমস্যা হলো শীতের শেষেই বাতাসে উড়ে আসে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া। তাই চাই এমন খাবার যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। এই সময় বাজারে পাওয়া যায় করোলা,সজনে ডাঁটা, ঝিঙে, রাঙা আলু ইত্যাদি। এই সবকিছুই কিন্তু বসন্ত ও অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া প্রতিষেধক। তাই আজকের রেসিপি 'বসন্ত প্রতিষেধক শুক্ত' -
উপকরণ
১টি করলা (স্লাইস করে কাটা),
১টা রাঙা আলু,
১ কাপ বেগুন (চৌকো করে কাটা),
১ কাপ কুমড়ো (চৌকো করে কাটা),
১০টি সজনে ডাটা,
১/২ কাপ কাঁচা পেঁপে,
১/২ কাপ ঝিঙে,
১/২ কাপ কাঁচকলা,
১/২ টেবিল চামচ সর্ষে পেস্ট,
১ টেবিল চামচ পোস্ত পেস্ট,
১ টেবিল চামচ চিনি,
১/২ কাপ দুধ,
২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, ১ চা চামচ জিরে গুঁড়ো,
১ চা চামচ মেথি,
১টি গোটা শুকনো লঙ্কা,
১টি তেজ পাতা,
১ টেবিল চামচ আদা পেস্ট,
১ টেবিল চামচ ঘি, সর্ষে তেল (প্রয়োজন অনুযায়ী), নুন (দরকার মত)৷
প্রণালী -
ফ্রাইং প্যানে সর্ষে তেল গরম করুন৷ এবার তেলে বড়ি ছেড়ে সেগুলিকে বাদামি করে ভেজে নিন৷
ওই তেলে করলাগুলিকে ভালো করে ভেজে নিতে হবে৷ পেপার তোয়ালেতে জড়িয়ে বাড়তি তেল ঝড়িয়ে নিয়ে একপাশে রেখে দিন এগুলি৷
ফ্রাইং প্যানে আরও এক চামচ তেল দিয়ে ফের গরম করে নিন৷ এবার ওতে শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা আর রাঁধুনি দিয়ে দিন৷ মশলা ফাটতে শুরু করলে সবজিগুলি দিন৷ অল্প ভাজা ভাজা হলে ওর মধ্যে নুন এবং হলুদ গুঁড়ো দিতে হবে৷ অল্প আঁচে ৫ মিনিট
মতো রান্না হতে দিন৷ এবার ওতে পোস্ত এবং সর্ষে পেস্ট দিয়ে ৫ মিনিট নাড়াচাড়া করুন৷ জিরে গুঁড়ো এবং চিনি দিন৷ ১ কাপ জল দিয়ে ঢেকে দিন৷ ১৫ মিনিট মত লাগবে সবজি সেদ্ধ হতে৷ হয়ে গেলে বড়ি এবং করলা ভাজা ওতে দিন৷ আদা পেস্ট দিন৷ ৫ মিনিট নাড়াচাড়া করার পর ওর মধ্যে দুধ ও ঘি দিয়ে রান্না হতে দিন৷ ফুটতে শুরু করলে গ্যাস বন্ধ করে দিন৷ ঠান্ডা হলে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন৷