মুম্বই, ২৬ মার্চ : আর কয়েকটা দিন বাদেই শুরু হচ্ছে ষোড়শ সংস্করণের আইপিএল। এবারের আইপিএলে থাকছে বেশ কিছু নতুন বিষয়, বাড়ছে ব্যাপ্তিও। করোনাকাল কাটিয়ে ফিরছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং হোম ও অ্যাওয়ে ফরম্যাটে খেলা।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক এবারের আইপিএলের আকর্ষণীয় কিছু বিষয়:
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পারফর্ম করার কথা অরিজিৎ সিং এর
এবার আইপিএলে ৫২ দিনের মধ্যে হবে গ্রুপ পর্বের ৭০টি খেলা। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা অরিজিৎ সিংয়ের। বর্ণময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে গুজরাত টাইটান্স ও চেন্নাই সুপার কিংস। ২০১৯ সালের পর এই প্রথম আইপিএল দেশের মাটিতে হবে হোম ও অ্যাওয়ে ফরম্যাটে।
হাজারতম ম্যাচ:
লিগ পর্যায়ের ম্যাচ, দুটি কোয়ালিফায়ার, একটি এলিমিনেটর ও ফাইনাল নিয়ে মোট ৭৪টি ম্যাচ হবে। রয়েছে মোট ১৮টি ডাবল হেডার বা একই দিনে দুটি ম্যাচ। ডাবল হেডারের প্রথম ম্যাচ শুরু বিকেল সাড়ে ৩টেয় এবং পরের ম্যাচটি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হবে। শনি ও রবিবার হবে ডাবল হেডার। মে মাসের ৬ তারিখ আইপিএলের ১০০০তম ম্যাচে মুখোমুখি হবে চেন্নাই সুপার কিংস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। প্রতিটি দল ১৪টি করে ম্যাচ খেলবে। সাতটি হোম ও সাতটি অ্যাওয়ে ম্যাচ।
হোম ও অ্যাওয়ে দেশের মাটিতে ২০১৯-এর পর:
আইপিএলে ১০টি দল রয়েছে। খেলা হবে মোট ১২টি শহরে। গুয়াহাটি ও ধরমশালায় খেলা হবে। রাজস্থান রয়্যালসের জন্য গুয়াহাটি এবং পাঞ্জাব কিংসের জন্য ধরমশালাকে বেছে নেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় 'হোম' হিসেবে। রাজস্থান রয়্যালস তাদের প্রথম দুটি হোম ম্যাচ খেলবে গুয়াহাটিতে, পঞ্জাব শেষ দুটি হোম ম্যাচ খেলবে ধরমশালায়। চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, মুম্বই, কলকাতা, লখনউ, দিল্লি, আমেদাবাদ, জয়পুর ও মোহালিতে হবে আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলি।
গ্রুপ পর্বের খেলায় অভিনবত্ব:
গ্রুপ এ-তে রয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, কলকাতা নাইট রাইডার্স, রাজস্থান রয়্যালস, দিল্লি ক্যাপিটালস ও লখনউ সুপার জায়ান্টস। গ্রুপ বি-তে রয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর, গুজরাত টাইটান্স, পঞ্জাব কিংস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্রতিটি দল অন্য গ্রুপের পাঁচটি দলের বিরুদ্ধে ২ বার করে এবং নিজেদের গ্রুপের চারটি দলের সঙ্গে একবার করে খেলবে।
বাড়তে পারে প্রাইজ মানি:
এবার আইপিএলের প্রাইজমানি ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়তে পারে। গত বছর আইপিএল চ্যাম্পিয়ন দল ২০ কোটি, বিজিত দল ১৩ কোটি, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানাধিকারী দল যথাক্রমে ৭ কোটি ও সাড়ে ছয় কোটি টাকা পেয়েছিল।