জগন্নাথ মন্দিরের গজপতি জানান, প্রতি বছর পৌষ মাসের ষষ্ঠীতে তিনি মন্দিরে যান এবং সেখানে দেবীকে জগন্নাথের পোশাক ও ফুল উপহার দেন। শুধু তাই নয়, কাঠ কাটার অনুমতি নেওয়া হয় দেবীর কাছ থেকে। একই সময়ে, সেখানে বিশেষ পুজোও করা হয়। এরপর দু'তিন ঘণ্টা ভজন ও কীর্তন করা হয়। তাঁর বিশ্বাস, পুজোয় কোনও বাধা না এলে বুঝতে হবে দেবী কাঠ কাটার অনুমতি দিয়েছেন। মালি বর্ণের মানুষরা ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই বনগুলি পাহারা দিচ্ছে বলেও স্থানীয়দের বিশ্বাস। গাছ কাটার সময় সকল সদস্য সঠিক গাছের সামনে মাথা নত করে এবং এটি কাটার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। গজপতি আর জানান, এটা বিশ্বাস করা হয়, পূর্বপুরুষরা হাজার হাজার বছর ধরে এই গাছগুলিকে পাহারা দিয়েছেন।
আবার রথযাত্রা শেষে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার তিনটি রথের কাঠ পুরীতে জগন্নাথধামের রান্নাঘরে রাখা হয়। এগুলো পুড়িয়ে সারা বছর ভগবানের মহাপ্রসাদ তৈরিতে ব্যবহার করা হয় বলেও জানিয়েছেন গজপতি। প্রতি বছর ভগবান জগন্নাথ, দেবী সুভদ্রা এবং ভগবান বলভদ্রের জন্য তিনটি পৃথক রথ তৈরি করা হয়। মোট ৮৬৫টি কাঠের টুকরো দিয়ে এই রথ তৈরি হয়। কিন্তু, এবার মাত্র ৮১২টি কাঠের টুকরা ব্যবহার করা হবে। বলা হচ্ছে, গত বছর ৫৩টি পিস সংরক্ষিত রয়েছে। ফলে আলাদা করে বাড়তি কাঠের প্রয়োজন পড়বে না। এখনও পর্যন্ত রথ তৈরির জন্য প্রায় ২০০টি টুকরো মন্দিরে পৌঁছে গিয়েছে। অক্ষয় তৃতীয় শুভ মুহূর্ত থেকে প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে। তারপর ধীরে ধীরে রথ তৈরির জন্য বাড়ি কাঠের টুকরোও মন্দিরে প্রাঙ্গনে আনা হবে।