দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ যে কোনও পুজোঅর্চনা মানেই নিষ্ঠাভরে প্রার্থনা। আর এই প্রার্থনার প্রথম শর্তই নাকি নির্জলা উপোস। যদিও বা জল গিলে খাওয়া যেতে পারে কিন্তু দাঁতে কাটা যাবে না কিছু। ভগবানের ক্ষুধা ও তৃষ্ণারূপ অনুভব করতে গেলে না খেয়ে থাকাই উচিত, এই মত মেনেই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উপবাসের রীতি প্রচলিত। সামনে আবার শিবরাত্রি। এই দিন অনেকেই হয়তো নির্জলা উপবাস করবেন। এখন এই নিয়মে শরীর কতটা অভ্যস্ত বা শরীর কতটা এটা সহ্য করতে পারে সেটাও কিন্তু পরোক্ষভাবে বোঝা জরুরি। শরীরের জন্য উপোস ভাল না খারাপ তা নিয়ে নানা মত রয়েছে। তবে, যদি ঠিক মতো বুঝে উপোস করা হয়, তাহলে এর ইতিবাচক প্রভাব শরীরে পড়ে। আবার অতিরিক্ত করলে ক্ষতিও হয়।
ভালো দিক কী?
মাঝেমধ্যে উপোস করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ হয়। ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমায়।
উপবাস শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
ট্রাইগ্লিসারাইড, কোলেস্টেরল এই সব কমিয়ে হার্টের অসুখ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
কিছু প্রাণীর শরীরে পরীক্ষা করে তথ্য মিলেছে, ওয়ার্কিং মেমরি বা ভার্বাল মেমরি উপবাসের পর বেড়ে যায়। অর্থাৎ স্মৃতিশক্তিতেও এই ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। যা মানব শরীরেও সমভাবে কাজ করবে বলেই অনুমান করা যায়।
উপোস করলে গ্রোথ হরমোন নিঃসরণ বাড়ে। এছাড়াও পেটে এক ধরনের ব্যাকটিরিয়া রয়েছে যেমন, ক্রাইস্টিনসেনেলা। যা উপবাস করলে শরীরে বা পেটে গ্রো করে। এই ব্যাকটিরিয়া একজনের আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে। তাই বলা হয় যাঁরা মাঝেমধ্যে উপোস করেন তাঁদের দীর্ঘায়ু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়াও উপবাস করলে ওজন বা মেদ কমে, ভুঁড়ি কমে। যা অনেক অসুখ প্রতিহত করে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে, শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যায়।