দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বাঙালির উদ্দীপনার উদযাপনের অন্যত্তম উৎসব দুর্গাপুজা। কথায় আছে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ, কিন্তু এই সব পার্বণের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির প্রানের উৎসব দুর্গাপুজো।এক বছর পরে ঘরের মেয়ের ঘরে ফেরার যে উদ্দীপনা তাকেই অনুভব ও উদযাপনের অনুষ্ঠান এই দুর্গাপুজা।
মা দুর্গা কে বাঙালিরা নিজের ঘরের মেয়ে মেনে তাকে বরন করে নিয়ে উৎসবের এই ৫দিন। তবে বর্তমান সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে সাবেকিয়ানার সাথে আধুনিকতার মেলবন্ধনে উৎসবের সঙ্গে আবেগের সঙ্গে একাত্ত হয়ে গিয়েছে বানাজ্যিকরন। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পুজো প্যান্ডালের সাথে প্রতিমা সবেতেই আধুনিকতার প্রলেপ পড়েছে।যার মাধ্যমে বাংলার এই মহোৎসব বিশ্বের দরবারে আলাদা স্থান করে নিয়েছে।
শহর থেকে শহরতলি সকল স্থানেই এখন চোখে পড়ে থিমের রমরমা, যার টানে দর্শকরা ছুটে বেড়ান এক মহল্লা থেকে অন্যত্র। শহর থেকে কিছুটা অদূরে অবস্থিত কল্যানী আইটিআই মোড়ের ল্যুমিনাস ক্লাব দূর্গাপুজো কমিটির পুজোও নিজেদের পুজোতে ফি-বছর থিমের চমক দিয়ে দর্শকদের তাক লাগিয়ে দেয়। উল্লেখ্য, গত বছর এই পুজো কমিটির তরফ থেকে টুইন টাওয়ার প্রস্তুত করা হয়েছিল, তবে এ বছর ও তাদের পুজোয় থিম হিসাবে থাকছে ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের এক অনবদ্য শিল্পকর্ম। এবছর এই পুজো কমিটির থিম চিনের গ্র্যান্ড লিসবোয়া। প্রসঙ্গত, লিসবোয়া ম্যাকাও শহরের একটি বিলাস বহুল হোটেল। যার সৃজনশৈলী সত্যিই অসাধারন। গত বছরের থিম টুইন টাওয়ার রাতারাতি এই পুজোকে বিখ্যাত করে তুলেছিল। এবারের থিম গ্র্যান্ড লিসবোয়ার আসল আকর্ষন হল লাইট শো। পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলায় এই মন্ডপে হতে চলেছে লাইন শো।
চিনের এই অসাধারন আর্কিটেকচারের রেফলিকা দেখতে কতটা আকর্ষনীয় হতে চলেছে তার জন্য আর কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। তার পরেই দেখা মিলবে এই অসাধারন শিল্প কর্মের।