দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- আরজিকর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে বিচারের দাবিতে গোটা বঙ্গ জুড়ে উঠেছে আন্দোলনের ঝড়। শুধু তাই নয়, নিম্নচাপের জেরে গোটা রাজ্যে এখন বন্যা পরিস্থিতি। প্লাবিত হয়েছে একাধিক গ্রাম। যার জন্য ব্যবসাতেও লোকসান দেখছেন অনেকে। এর দরুন আসন্ন দুর্গাপুজোতে এখনও সামিল হতে পারছেন না রাজ্যবাসী। বাজচ্ছে না আনন্দের সুর। তবে আজ থেকে ৪৬ বছর আগেও বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোতে মাততে পারেনি বাঙালি।
১৯৭৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর, বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। শুরুতে হালকা ফোটা, তারপর ধারাবাহিক বৃষ্টি, আর তারপর এক প্রলয়। তিন দিন ধরে রাজ্যের বুকে ঝরেছে জল। ৯৪৪.৭ মিলিমিটার বৃষ্টি! সংখ্যাটা ছোট হলেও তার প্রভাব ছিল বিশাল। নদী বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল, গ্রামগঞ্জের ঘরবাড়ি ডুবে গিয়েছিল, মানুষের জীবন যাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল।
কলকাতা শহরও বন্যার কবলে পড়েছিল। রাজপথগুলো নদীতে পরিণত হয়েছিল। মানুষ নৌকা করে রাস্তায় চলাচল করছিল। গড়িয়াহাট, লেকটাউন এলাকাগুলি জলে ডুবে গিয়েছিল। গ্রামাঞ্চলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ ছিল। মানুষ গাছের ডালে, ছাদে আশ্রয় নিয়েছিল। খাদ্যের অভাব, পানির দূষণ, রোগব্যাধি - এই সব মিলে মানুষের জীবন যাত্রা দুর্বিসহ হয়ে পড়েছিল।
এই দুর্যোগের মধ্যে দুর্গাপুজোর আগমন মানুষের মনে কোন আনন্দ নিয়ে আসেনি। বরং, তাদের মনে দুঃখ, কষ্ট আর হতাশার ছায়া ছিল। অনেক জায়গায় পুজোই হয়নি। যেখানে হয়েছিল, সেখানেও খুবই সাধারণভাবে। পুজো মণ্ডপগুলিও জলমগ্ন হয়ে গিয়েছিল।