
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: হলিউড বা বলিউড নয়, দক্ষিণী সিনেমার এই জনপ্রিয় তারকাজুটি—রশ্মিকা মন্দানা এবং বিজয় দেবেরাকোন্ডা—আট বছরেরও বেশি সময় ধরে একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। তবে এত বছরেও তাঁরা কখনও এই সম্পর্ককে প্রকাশ্য ভাষায় স্বীকার করেননি। সেই সঙ্গে তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনকে শ্রদ্ধার সাথে গোপন রাখার চেষ্টা, প্রায়শই পাপারাজ্জি ও ফ্যানদের জন্য রহস্যের মতো মনে হয়েছে।
সম্প্রতি, রশ্মিকার হাতের অনামিকায় ঝলমলে হীরের আংটি দেখা যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে নতুন গুঞ্জন। খবরে শোনা যাচ্ছে, এই আংটিই সম্ভবত তাদের বাগদানের প্রতীক। তবে নায়িকা নিজেই এই বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাননি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, “আমি এই নিয়ে কিছু বলতেই চাই না। আমি আমার বিয়ে বা সম্পর্কে সিলমোহরও দিতে চাই না আর তা আমি অস্বীকারও করতে চাই না। আমাদের যখন মনে হবে এটা নিয়ে জনসমক্ষে বলা উচিত আমরা নিশ্চয়ই তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানাব। আমার মনে হয় ততক্ষণ আমাদের সবটা ব্যক্তিগত রাখতে দিলেই ভালো। কারণ, সব মানুষেরই একটা ব্যক্তিগত জীবন আছে। আমার মনে হয় সেটাকে সম্মান জানানো উচিত।”
রশ্মিকার এই মন্তব্যই একপ্রকার জানিয়ে দিয়েছে, যে তারা এখনও সবকিছু ব্যক্তিগত রাখতে চান। তিনি আরও যোগ করেন, “প্রত্যেক মানুষের ব্যক্তিগত জীবন থাকে, সেটাকে সম্মান জানানো উচিত।” এই মন্তব্য থেকে বোঝা যায়, তিনি ও বিজয় উভয়েই ফ্যান ও মিডিয়ার চাপ থেকে নিজস্ব সম্পর্ককে রক্ষা করতে সচেষ্ট। পাপারাজ্জির লেন্স ঠিকই ধরা দিয়েছে তাঁদের কিছু মুহূর্ত। কখনও শহরের রাস্তায় একসঙ্গে ঘুরে বেড়ানোর ছবি, কখনও আবার সোশাল মিডিয়ার ফ্রেমে একই গন্তব্যে ভিন্ন সময়ে দেখা—সব মিলিয়ে রশ্মিকা এবং বিজয় দেবেরাকোন্ডার সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন কখনো থামেনি। একাধিক সূত্রে জানা যায়, নায়ক-নায়িকার আড়াই লাখ টাকার হীরের আংটিতে গোপনে বাগদান হয়েছে। যদিও রশ্মিকা এই খবরের ওপর সিলমোহর দেননি, তবে ‘থামা’ চলচ্চিত্রের প্রচারে তাঁর হাতে সেই আংটিটি বেশ নজর কেড়েছে। এই ঘটনার পর ভক্তদের মধ্যে আরও কৌতূহল বেড়েছে।
অপরদিকে শোনা যাচ্ছে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজস্থানের উদয়পুরে এই তারকাজুটি তাদের বিয়ের আয়োজন করতে পারে। যদিও এই খবর এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হয়নি, গুঞ্জনের মাত্রা তবুও কমেনি। ভক্তরা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত তাদের ছবি এবং সম্ভাব্য বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পর্কিত নানান আলোচনা করে চলেছেন।
