দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বারবার ঘুরে ফিরে উঠে এসেছে নবনীতা দাস এবং জিতু কামালের ডিভোর্সের পোস্ট। নবনীতাই প্রথম সোশ্যাল মিডিয়ায় জিতুর সঙ্গে তার বিচ্ছেদের প্রসঙ্গ তিলে ধরেন, তারপরই ধোঁয়াশা ভরা পালটা পোস্ট দেন জিতু কামালও।
অভিনেতা ওই পোস্ট করায় নেটিজেনদের ধারণা হয়েছিল, সাময়িক অভিমানের জেরে 'ছেলেমানুষী' করছেন অভিনেত্রী।কিন্তু একটা প্রশ্ন চিহ্ন থেকেই যাচ্ছিল, জিতুর সোশ্যাল পোস্ট দেখে এবার ডিভোর্সের কারণ নিয়ে মুখ খুললেন নবনীতা। তাঁর কথায়, 'ওর বৃহস্পতিবারের পোস্টটা আমি দেখেছি। আজকের পোস্ট আর দেখা হয়নি। তবে আমি যা বলেছি সেটা প্রাইভেসি বজায় রেখেই। ও হয়ত গোপনীয়তা বজায় রাখতেই চাইছে। সেটা হলেই হয়ত দু'জনের মঙ্গল হবে।' তিনি আরো বলেন-'আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ কায়দায় সবটা শেষ করতে চেয়েছিলাম। সিদ্ধান্তটা নেওয়ার পরেই ভেবেছিলাম গোপনেই সবটা সারব। শেষটা এভাবেই হবে সেটা আগে থেকেই ঠিক করে নিয়েছিলাম। সেই কারণেই হয়ত বিশেষ কিছু বলছে না ও।'অভিনেত্রীর আরো সংযোজন কাঁদা ছোড়াছুড়ি করতে চাইনি। ব্লেম গেমে বিশ্বাসী নই আমি। আমাকে হয়ত সভ্যভাবেই সবটা শেষ করার ইঙ্গিত দিচ্ছে ও।
বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন-'তিন-চার মাস আগেই আমরা মিউচ্যুয়ালি ডিভোর্স ফাইল করেছি। অক্টোবরেই বিচ্ছেদ পাকা হয়ে যাবে। কনটেস্টের ক্ষেত্রে কখনও কখনো ছ' মাস একসঙ্গে থাকার নির্দেশ দেয় কোর্ট। কিন্তু, আমরা তো সেটা করিনি। আর এটা হঠকারী সিদ্ধান্ত নয়। বরং কয়েক মাস আগে নেওয়া সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত।'
তবে নেটপাড়ায় গুঞ্জন, জিতু-নবনীতার সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির আগমন ঘটেছে। অভিনেত্রীর সাফ জবাব 'কথাবার্তা, রাগ, অভিমান, ইগো, নীতিই হয়ত আমাদের সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির ভূমিকা নিয়েছিল। তবে মানুষ হিসেবে তৃতীয় ব্যক্তি কখনও প্রাধান্য পায়নি।'ছোট ছোট ঘটনার মাধ্যমেই সমস্যার সূত্রপাত হয়েছিল। একটু একটু করে জমতে জমতে চরম সিদ্ধান্তটা নিয়েছি। এটা আজকের সিদ্ধান্ত নয়। যা হওয়ার অনেকদিন আগেই হয়ে গিয়েছে।