দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: মিঠি নদীর পলি অপসারণ প্রকল্পে ৬৫ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে মুম্বই পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখা মডেল অভিনেতা ডিনো মোরিয়াকে তলব করেছে। মিঠি নদীর পলি অপসারণ ও সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পে কোটি কোটি টাকার অনিয়ম ধরা পড়ার পর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) মুম্বই ও কেরলের ১৫টি স্থানে তল্লাশি চালিয়েছে, যেখানে অভিনেতা ডিনোর বাড়িও রয়েছে।
মিঠি নদী, যা মুম্বইয়ের বন্যা প্রতিরোধে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, সেখানে পলি অপসারণের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, ঠিকাদাররা ভুয়ো স্লিপ, জাল নথি ও লগবুক জমা দিয়ে অর্থ তছরুপ করেছেন। এ ছাড়াও প্রায় ৩ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি অতিরিক্ত দরে ভাড়া নেওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে। সরকারি তহবিল থেকে পলি অপসারণ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ অন্য কাজে ব্যবহার করা হয়েছে এবং প্রকৃত পলি অপসারণে তা ব্যয় হয়নি বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এই কেলেঙ্কারিতে ডিনোর নাম আসায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে, যদিও এখন পর্যন্ত তিনি এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে এই দুর্নীতির সঙ্গে কীভাবে অভিনেতা যুক্ত ছিলেন তা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তের স্বার্থেই ডাকা হয়েছে ডিনোকে।
মিঠি নদী এলাকায় বর্ষার সময়ে জল নিষ্কাশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দুর্নীতির কারণে মুম্বই শহরের বন্যা প্রতিরোধের কাজ ব্যাহত হচ্ছে, যা সাম্প্রতিক বৃষ্টির সময় স্পষ্ট দেখা গেছে। সোমবার নরিমন পয়েন্টে মাত্র এক ঘণ্টায় ১০৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ায় কুরলা, সায়ন, দাদর ও পরেলসহ একাধিক নিচু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। তদন্তকারীরা অভিযোগের মূল প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে এবং শীঘ্রই আরও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এই দুর্নীতির সাথে কারা কারা জড়িত আছেন, তা দ্রুত প্রকাশের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। সরকারি তহবিলের অপব্যবহার ও শহরের জনজীবনের ওপর প্রভাব পড়ায় এই মামলাটি বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। মিঠি নদী পলি অপসারণ প্রকল্পের দুর্নীতি তদন্তের ফলে মুম্বইয়ের বন্যা প্রতিরোধ ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এসেছে।