দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় ক্রিকেটার ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের তারকা ব্যাটার রিঙ্কু সিং এবার জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করলেন। লখনউয়ে সমাজবাদী পার্টির নবনির্বাচিত সাংসদ প্রিয়া সরোজের সঙ্গে তিনি বাগদান সম্পন্ন করেছেন। এই হাই-প্রোফাইল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া প্রশাসক থেকে রাজনীতির আঙিনার বহু বিশিষ্ট মুখ।
লখনউয়ের একটি বিলাসবহুল হোটেলে আয়োজিত এই বাগদান অনুষ্ঠানে প্রায় ৩০০-র বেশি অতিথি আমন্ত্রিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার প্রবীণ কুমার, পীযূষ চাওলা, উত্তরপ্রদেশ রঞ্জি দলের অধিনায়ক আরিয়ান জুয়াল। রাজনৈতিক মহলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব, সাংসদ জয়া বচ্চন, ডিম্পল যাদব, ইকরা হাসান, কংগ্রেস নেতা রাজীব শুক্লা এবং প্রবীণ রাজনীতিবিদ রাম গোপাল যাদব।
বিশেষ দিনে রিঙ্কু-র পরনে ছিল সাদা রঙের শেরওয়ানি। তাতে রুপোলি সুতোর কাজ করা। প্রিয়ার পরনে ছিল হালকা গোলাপি আভার লহেঙ্গা চোলি। সঙ্গে মানানসই গয়না। হাত ধরে অনুষ্ঠানে আসেন তাঁরা। মঞ্চে যখন দু’জন দু’জনের আঙুলে আংটি পরিয়ে দিচ্ছেন তখন বাজি পোড়ানো হল। এই আবেগঘন মুহূর্তটি ক্যামেরাবন্দি হয়ে দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। অনুষ্ঠানের আগে রিঙ্কু সিং তাঁর পরিবারের সঙ্গে বুন্দেলশহরের চৌধেরা ওয়ালি বিচিত্রা দেবী মন্দিরে গিয়েছিলেন আশীর্বাদ নিতে। রিঙ্কু-প্রিয়ার বিয়ে আগামী ১৮ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রিয়া সরোজ ভারতের কনিষ্ঠতম সাংসদদের মধ্যে একজন। তিনি সমাজবাদী পার্টির প্রবীণ নেতা তুফানি সরোজের কন্যা। আইনশাস্ত্রে শিক্ষিত প্রিয়া সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ করতেন। রাজনীতিতে আসার পরিকল্পনা না থাকলেও পরিবারের অনুপ্রেরণায় তিনি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয় পান। রিঙ্কু ও প্রিয়ার পরিচয় হয়েছিল এক বছর আগে, প্রিয়ার এক বন্ধুর বাবার মাধ্যমে। সেই সম্পর্কই ধীরে ধীরে প্রেম এবং অবশেষে বাগদানে পরিণত হয়, উভয় পরিবারের সম্মতিতে।
ক্রিকেট মাঠে রিঙ্কুর সাফল্য যেমন চোখে পড়ার মতো, তেমনি তাঁর ব্যক্তিগত জীবনেও এবার শুরু হচ্ছে এক নতুন অধ্যায়। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ট্রফি জেতার পর রিঙ্কু এখন ভারতীয় সাদা বলের দলে অন্যতম নির্ভরযোগ্য মুখ। সর্বোপরি এই বাগদান অনুষ্ঠান রিঙ্কু-প্রিয়ার জীবনের এক বিশেষ স্মরণীয় দিন হয়ে থাকল, যেখানে ক্রিকেট ও রাজনীতি মিলেমিশে তৈরি হল এক হৃদয়ছোঁয়া মুহূর্ত।