দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: রেলওয়ে বোর্ডের সদস্য (পরিচালন ও ব্যবসায়িক উন্নয়ন) এবং ভারত সরকারের প্রাক্তন সচিব হিতেন্দ্র মালহোত্রা জোনের পরিচালনগত দক্ষতা এবং সুরক্ষামূলক প্রস্তুতি মূল্যায়ন করতে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে পরিদর্শন করেছেন। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের সদর কার্যালয়ে এনএফ রেলের জেনারেল ম্যানেজার চেতনকুমার শ্রীবাস্তব এবং জেনারেল ম্যানেজার (নির্মাণ)অরুণ কুমার চৌধারীর সঙ্গে এক উচ্চস্তরের বৈঠকে অংশ নেন মালহোত্রা।
উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা এক প্রেস বার্তায় এ খবর দিয়ে জানান, হিতেন্দ্র মালহোত্রা সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধান (পিএইচওডি) এবং অন্যান্য বরিষ্ঠ আধিকারিকদের সাথেও এক বিশদ পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন। আলোচনায় জোনের অপারেশনাল পারফরম্যান্স, বাণিজ্যিক কৌশল এবং পরিষেবার দক্ষতা পর্যালোচনা, রেলের বাধাহীন পরিচালন এবং ব্যবসার বৃদ্ধি নিশ্চিত করার ওপর আলোকপাত করা হয়। আলোচনায় মালবাহী অপ্টিমাইজেশান, ট্রেনের পরিচালন সুব্যবস্থিত করা এবং ডিভিশনগুলির মধ্যে সমন্বয় সুদৃঢ় করার জন্য কৌশলগত পরিকল্পনার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
মূল কর্ম প্রদর্শন সূচকগুলি পর্যালোচনা করার পাশাপাশি রাজস্ব উৎপাদন এবং লজিস্টিক ব্যবস্থাপনার ওপর উদ্ভাবনী পদ্ধতির অন্বেষণ করা হয়। ব্যবসায়িক উন্নয়ন প্রচেষ্টার অগ্রগতি, মালবাহী লজিস্টিক বৃদ্ধি করা এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা দৃঢ় করার জন্য মূল্যবান মতামত প্রদান করে অপারেশনাল এক্সেলেঞ্চ-এর প্রতি ভারতীয় রেলের প্রতিশ্রুতি পুনর্নিশ্চিত করেন হিতেন্দ্র মালহোত্রা।
তিনি কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুমও পরিদর্শন করে এর রিয়েল-টাইম মনিটরিং সিস্টেম, জরুরিকালীন প্রতিক্রিয়া প্রক্রিয়া এবং ট্র্যাফিক পরিচালন ক্ষমতার মূল্যায়ন করেন। আজারা স্টেশন এবং গুডস ইয়ার্ডের বিস্তৃত এলাকাও পরিদর্শন করেছেন। সেখানে রেলওয়ে বোর্ড সদস্য পরিকাঠামোর প্রস্তুতি, ফ্রেইট হ্যান্ডলিং দক্ষতা এবং সম্ভাব্য ক্ষমতা সম্প্রসারণ পরীক্ষা করেন তিনি। এছাড়া পণ্য-হ্যান্ডলিং প্রক্রিয়া আধুনিকীকরণ, টার্ন-অ্যারাউন্ড সময় হ্রাস করা এবং মাল বহনের রাজস্ব বৃদ্ধির ভূমিকার ওপর গুরুত্ব প্রদান করা হয়, যেখানে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক বিকাশে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের ভূমিকা শক্তিশালী হয়েছে।
মালহোত্রার সফর এবং বিস্তৃত পর্যালোচনা উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পরিচালন উৎকর্ষতা এবং পরিকাঠামো আধুনিকীকরণের প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতিকে আরও অনুপ্রাণিত করবে। কারণ উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে পরিচালন শক্তিশালী করতে, অর্থনৈতিক অগ্রগতি বজায় রাখতে এবং সমগ্র অঞ্চলে বিরামহীন সংযোগ প্রদানের লক্ষ্যে সক্রিয় কৌশল এবং উদ্ভাবনী সমাধানগুলি গ্রহণ করে চলেছে, বলা হয়েছে প্রেস বার্তায়।