গুরুগ্রাম : রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সরসঙ্ঘচালক ড. মোহন ভাগবত বলেন , আমাদের যতটা সম্ভব জ্ঞান অর্জন করা উচিত। জীবন হচ্ছে শিখতে থাকা এবং শিখতে শিখতে সমৃদ্ধ হতে হবে। গবেষণার জন্য ভালো ধরনের তথ্য থাকতে হবে এবং আমাদের দেশে সব ধরনের ভালো মডেল বিদ্যমান। প্রবীণ প্রজন্মের চেয়ে আমাদের তরুণদের সম্ভাবনা অনেক বেশি। ভারতকে সব ধরনের ক্ষমতায় এক নম্বরে নিয়ে যেতে হবে এবং বিশ্বে নিজের উদাহরণ স্থাপন করতে হবে।
ড. ভাগবত গুরুগ্রামের এসজিটি ইউনিভার্সিটিতে ভিশন ফর ডেভেলপড ইন্ডিয়া বিষয়ের উপর তিনদিনের অল ইন্ডিয়া রিসার্চ স্কলারস কনফারেন্সের প্রথম সেশনে ভাষণ দিচ্ছিলেন। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ইসরোর চেয়ারম্যান ড. এস সোমনাথ এবং নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ড. কৈলাশ সত্যার্থীও বক্তব্য রাখেন।
সঙ্ঘ প্রধান ভাগবত গবেষকদের সতর্ক করতে গিয়ে বলেন, আমাদের কপি করা উচিত নয়, কার্বন কপি চলবে না। যে ভারত বিশ্বকে পথ দেখায়, তাকে আমাদের কঠোর পরিশ্রম দিয়ে বড় করতে হবে। গত ২০০০ বছরে অনেক উন্নয়নের পরীক্ষা হয়েছে।
যখন উন্নয়ন হয়েছে, তখন পরিবেশগত সমস্যাও দেখা দিয়েছে। বিশ্ব এখন ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে যে একমাত্র ভারতই এর পথ খুঁজে পাবে। ভাগবত বলেন যে ১৬ শতক পর্যন্ত, ভারত সমস্ত ক্ষেত্রে বিশ্বনেতা ছিল।
এখানে উন্নয়নকে সার্বিকভাবে দেখা হয়, যেখানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানুষ চায় শরীর ও মনের উন্নয়ন। তিনি বলেন, আমাদের ভালো চিন্তাধারাকে মেনে নেওয়া উচিত কিন্তু অন্ধভাবে সেটা অনুসরণ করা উচিত নয়। শিক্ষা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয় কিন্তু শিক্ষা এমন হতে হবে যাতে তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থাকে এবং শিক্ষাকে কাজে লাগাতে হয়। যুক্তিসঙ্গত বিষয় স্বপ্ন দেখে আসে না, কাজ করে আসে। তরুণদের চিন্তা-চেতনা নতুন, কোনো ধরনের বাঁধা নেই। তরুণদের একটি সুন্দর পরিবেশ পেতে হবে। ভাল উদ্ভাবনের প্রশংসা করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিরও এই বিষয়ে অবহেলা করা উচিত নয় । নতুন গবেষণায় উৎসাহ দেওয়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব। ভাগবত বলেন, আজকাল শিক্ষার উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে পেট ভরানো কিন্তু এমনটা যেন না হয়, এটা খারাপ।সম্মেলনে ড. ভাগবত আধ্যাত্মিকতা এবং ধর্ম সম্পর্কিত অনেক বিষয়ে গবেষকদের বিস্তারিত তথ্য দেন এবং তাদের গবেষণাকে মানবতার জন্য উপযোগী করার কথা বলেন।