ভাদোদরা, ১০ জুলাই : গুজরাটের ভাদোদরায় গম্ভীরা সেতু বিপর্যয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হল ১৫। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে আরও ৪টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। এরপরই মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৫। ভদোদরা ও আনন্দকে সংযুক্তকারী গম্ভীরা সেতুটি যেখানে ভেঙে পড়েছে, সেই স্থানটি ইতিমধ্যেই পরিদর্শন করেছেন ভদোদরার কালেক্টর অনিল ধামেলিয়া। কালেক্টর এবং স্থানীয় প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা গতকাল থেকেই এখানে ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান পরিদর্শন করছেন এবং পর্যালোচনা করছেন।
ভদোদরার কালেক্টর অনিল ধামেলিয়া বলেছে, "বৃহস্পতিবার আরও ৩টি মৃতদেহ উদ্ধারের পর মৃতের সংখ্যা ১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। ৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। ঘটনাস্থলে দু'টি গাড়ি কাদায় আটকে আছে। আমরা জনসাধারণের কাছ থেকে সেই গাড়িগুলির বিস্তারিত তথ্য চাইছি। বৃষ্টিপাত হচ্ছে এবং নদীতে জলস্তর বেড়েছে।" সেতু থেকে ঝুলন্ত ট্রাকটি সম্পর্কে তিনি বলেন, "এটি একটি খালি ট্যাঙ্কার। আমরা যদি এটি সরিয়ে নিই, তাহলে এটি পড়ে যেতে পারে। ট্যাঙ্কারটিকে স্থিতিশীল করার প্রক্রিয়া চলছে, কারণ সেতুর ঠিক নীচে উদ্ধার অভিযান চলছে।"
বুধবার সকালে মহিসাগর নদীর উপর ভেঙে পড়ে গম্ভীরা সেতু। এই সেতু বিপর্যয়ে স্থানীয়েরা আঙুল তুলেছেন প্রশাসনের দিকে। অভিযোগ, ৪০ বছরের পুরনো সেতুটির দেখভাল ঠিক ভাবে করা হয়নি। প্রবল যানজট হত সেতুতে। যান চলাচলের জন্য ক্রমশ ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছিল। কিন্তু একাধিক বার প্রশাসনকে জানিয়েও লাভের লাভ কিছু হয়নি। মধ্য গুজরাটের সঙ্গে সৌরাষ্ট্রের যোগাযোগের অন্যতম ভরসা গম্ভীরা সেতু। তা ছাড়া, আনন্দ, ভাদোদরা, ভারুচ, অঙ্কলেশ্বরের স্থানীয় লোকজন দৈনন্দিন চলাচলের জন্য এই সেতু ব্যবহার করতেন।