দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ মিলেটের জনপ্রিয়তা এবং গুরুত্ব বৃদ্ধি করতে ২০২৩ সালকে আন্তর্জাতিক ‘বাজরা বছর’ বলে ঘোষণা করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। মিলেট মূলত একটি দানা শস্য। জোয়ার, বাজরা, রাগী ইত্যাদি শস্য কে বলা হয় মিলেট। এই শস্যের পুষ্টি গুণ অত্যাধিক। এদিকে মিলেট সম্পূর্ণরূপে গ্লুটেন ফ্রি। বরং এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। শুধু তাই নয়, কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ এই মিলেটে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং মিনারেল, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো ছাড়াও ডায়াবিটিস, কোলেস্টরল, ওজন বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণেও দারুণ কাজ করে।
গুজরাট, রাজস্থান-সহ ভারতের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে জোয়ার, বাজরা, রাগী থেকে তৈরি খাবার খাওয়ার চল বেশি। তবে আজকাল মিলেট খাওয়া সুরু করেছে বাঙালিও। ভাত-রুটির বদলে ধীরে ধীরে মিলেটজাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস রপ্ত করছেন অনেকেই। মিলেট রুটি কিংবা ভাতের মতো রান্না করা যায়। মিলেটের আটা গরম জলে মেখে ডো তৈরি করে তা দিয়ে চিরাচরিত নিয়মে রুটি বা পরোটা তৈরি করেও খেতে পারেন। মন্দ লাগবে না। শুধু তাই নয়, চাল দিয়ে যে যে সুস্বাদু খাবার রান্না করা হয়, মিলেট দিয়েও প্রায় একই নিয়মে সেইসব পদ রান্না করে ফেলতে পারবেন। আজ শিখে নিন মিলেটের নিরামিষ পোলাও বানানোর পদ্ধতি।
শ্যামা চাল- ১ কাপ
দারচিনি- ১ ইঞ্চ
তেজপাতা- ২টি
শুকনো লঙ্কা- ৩টি
লবঙ্গ- ৪টি
এলাচ- ৪টি
স্টার অ্যানাইস- ১টি
গোটা জিরে- ১ চা চামচ
আদা বাটা- ১/২ চা চামচের একটু বেশি
কাঁচালঙ্কা- ৩টি
গাজর কুচি- ১/২ কাপ
বিনস্ কুচি- ১/২ কাপ
ক্যাপসিকাম কুচি- ১/৪ কাপ
কাজু- ১/২ কাপ (কিংবা নিজের পছন্দমতো)
গোলাপ জল- ১ টেবিল চামচ
কেওড়ার জল- ১ টেবিল চামচ
নুন- স্বাদ অনুযায়ী
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী
ঘি- প্রয়োজনমতো
চালের মতো করে মিলেটকেও খুব ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে, এবার মিলেট বা শ্যামা চাল আগের দিন রাতে ভিজিয়ে রাখুন।আদা বেটে নিন। সবজি কেটে নিন। কাঁচালঙ্কা লম্বালম্বি করে চিরে রেখে দিন।মিলেটের জল খুব ভালো করে ঝরিয়ে নিন। ঠিক পোলাও করার আগে যেভাবে গোবিন্দভোগ চালের জল ঝরিয়ে নিতে হয়।এবার কড়াইতে ঘি বা সাদা তেল গরম করুন।গরম ঘি-তে তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, দারচিনি, লবঙ্গ, এলাচ এবং স্টার অ্যানাইস ফোঁড়ন দিন। সুগন্ধ উঠলে তাতে গোটা জিরে দিন।মশলা ভাজা হয়ে গেলে তাতে আদাবাটা দিয়ে নাড়াচাড়া করে নিন।এবার এতে দিন গাজর কুচি, বিনস্ কুচি এবং কাজু বাদাম। চাইলে কিশমিশও দিতে পারেন।কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে এতে জল ঝরানো শ্যামা চাল দিয়ে ভাজতে থাকুন।চাল যতক্ষণ কড়াইতে লাফাতে শুরু করছে, ততক্ষণ ভাজুন।এবার এতে স্বাদ অনুযায়ী কাঁচালঙ্কা, নুন এবং চিনি দিন।ভালো করে মেশান। এই সময় মেশান পরিমাণ মতো জল।পুরোনো মিলেট হলে জল কম লাগে, আর নতুন মিলেট হলে জল সামান্য বেশি লাগবে।পুরোনো মিলেট হলে যতটা চাল নেবেন, তার ঠিক দুই গুণ জল নিতে হবে। মানে এক কাপ চালে দুই কাপ জল।এদিকে নতুন মিলেট হলে এক কাপ জলে আড়াই কাপ জল লাগবে।জল মেশানোর পর তাতে গোলাপ জল এবং কেওড়ার জল মিশিয়ে দিন।মোটামুটি আধ ঘণ্টার মতো মিলেট সিদ্ধ হতে লাগবে। সিদ্ধ হয়ে গেলে দেখবেন একেবারে ঝরঝরে মিলেট পোলাও তৈরি হয়ে গেছে। আলুর দম, পনিরের তরকারি ব ছানার ডালনা দিয়ে গরমা গরম পরিবেশন করুন মিলেট পোলাও।