দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ পুজোর মানে বন্ধু, আত্মীয়, পরিজন , প্রতিবেশী জমজমাটী আড্ডা , ঠাকুর দেখা আর দেদার খেওয়া দাওয়া। পুজোয় বোধন থেকে শুরু করে অষ্টমী পর্যন্ত অনেক বাঙালি বাড়িতেই নিরামিশ খাবার চল আছে, সেক্ষেত্রে নবমীতে আমিষ খাবার প্রথা চলে আসছে বহুদিন থেকে। বাড়ির পুজোতেও মায়ের আমিষ ভোগ হবার চল আছে অনেক বনেদি বাড়িতেই।
মোদ্দা কথা আমিষ হোক বা নিরামিশ পুজোর দিনে কাছের মানুষদের সঙ্গে পাত পেড়ে ভুরিভোজের মজাটাই আলাদা। মূল পদে পঞ্চব্যাঞ্জন থাকলেও শেষ পাতে যদি একটা মনমোহনীয় মিষ্টি না থাকে তবে কিন্তু পুরো ভোজের আমেজটাই মাটি!
অনেকেই শেষে ডেসার্ট হিসাবে মিষ্টি দই, রসোগোল্লা এ জাতীয় মিষ্টি দিয়েই ভোজ শেষ করার প্ল্যান করে, তবে আপনি যদি এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী হত চান তবে বানিয়ে দেখতে পারেন মিঠা পোলাও , যা বানানোর ঝামেলাও কম খেতেও দারুন আর এক্সট্রা অ্যাডওন এ রেসিপি কিন্তু সবার জানা নয়, অর্থাৎ এই রেসিপি একদম সোজা আপনার রান্নাঘর টু ডাইনিই এ যাবে। দেকে নিন এই রেসিপির সমস্ত তথ্য।
*বাসমতী চাল-২৫ গ্রাম
*ঘি ৫-৬ চা চামচ
*কাজু-১০-১২ টা
*কিশমিশ ১০-১২ টা
* পছন্দের ফল (কিউব করে কাটা ১ কাপ)
*জাফরান ১০ স্ট্রিং
* খোয়া ক্ষীর ২৫ গ্রাম
* দুধ ১ কাপ
* চিনি ১ কাপ
প্রথমেই বলে রাখা ভাল, হাঁড়িতে রান্না করুন, কুকারে নয় ।ভাল করে ঘি-তে ভেজে নিন কাজু কিশমিশ । চাল আগে থেকে ভিজিয়ে রাখতে হবে। কিছুক্ষণ পর জল ছেঁকে ফেলে দিতে হবে। এরপর বাসমতী চালও ঘি-তে নেড়ে নিতে হবে। টুকরো করে রাখা ফল চিনির রসে আগে থেকে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। এরপর কাজু, কিশমিশ আর চাল একসঙ্গে নেড়ে নিতে হবে। একটু বেশি করে জাফরান দিন। তার উপর আবার ভাতের স্তর তৈরি করুন। এর উপর রসে ভেজানো ফলগুলি ছড়িয়ে দিন। এর উপর ছড়িয়ে দিন খোয়া ক্ষীর।খোয়া ক্ষীরের উপর ঢালুন দুধ।চিনি ছড়িয়ে দিন পরিমান মতো।৩০ মিনিট দমে রাখার পর নেড়ে নামিয়ে নিন। এবার ফ্রিজারে ২ঘন্টা মতো রেখে ভোজের শেষ পাতে পরিবেশন করুন মিঠা পোলাও।