দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বেআইনি তবু বুক ফুলিয়ে যাত্রী পরিবহন করে চলেছে এমন অজস্র লম্বা টোটো। বিষয়টাকে বিস্তারিতভাবে বলি। স্থান মায়াপুর ইসকন মন্দির সংলগ্ন রাস্তা। ঠিক যেন টোটোকে টেনে লম্বা করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে সিট। সব মিলে ১৬ জন বসতে পারে তাতে। তবে চাপাচাপি করলে ২০-২২ জনও হয়ে যায়। অর্থাৎ একরকম মিনিবাসই বলা যায়। অথচ চাকা কিন্তু তিনটে! এই যান ছোটদের খেলনার দোকানে দেখতে পাওয়া যায় মাঝেমাঝে। তবে এবার দেখা গেল এমনই গাড়ি ঘুরে বেড়াচ্ছে এই রাজ্যেই।
এই গাড়ির কোনো অনুমোদন নেই। কিন্তু কে কার কথা শোনে! মায়াপুরের রাস্তায় এই ধরনের মোটর ভ্যান আজকাল খুব চলছে। মাথায় ছাদ ঢাকা এই তিনচাকার লম্বা গাড়িতে দিব্যি চড়ছেন যাত্রীরা। যেহেতু বিজ্ঞানসম্মত ভাবে তৈরি নয়, তাই ত্রুটি রয়েছে অনেক। ফলে একরকম জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তাতে চলাচল করছেন যাত্রীরা। শুধু চলাচল বলা ভুল, রীতিমতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নতুন এই গাড়িগুলো। মায়াপুর ইসকনের চার নম্বর গেট থেকে মায়াপুর চৈতন্য মঠ, বল্লালদিঘি, চাঁদকাজির, রাজাপুর জগন্নাথ মন্দির দর্শনে তীর্থযাত্রীদেরও নিয়ে যাচ্ছে ওই গাড়িগুলো। মাথা পিছু ভাড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা। মানুষ চড়ছে ঠিকই, কিন্তু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
নতুন ধরনের গাড়ি দেখতে এবং একসঙ্গে অনেকে চাপতে পারার জন্য ভালই ভিড় হচ্ছে। কিন্তু এই যান যে মোটেই নিরাপদ নয়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বস্তুত, যন্ত্রচালিত মোটর ভ্যানের চারিদিক ঘিরে মাথায় ছাদ লাগিয়ে ছোটখাট চারচাকার মতো দেখতে এই গাড়ি তৈরি হয়েছে। তাতেই অবাধে উঠছে যাত্রী। সম্প্রতি এই নিয়ে একাধিক অভিযোগ পেয়ে প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে। এখন দেখার কোথাকার জল কোথায় গড়ায়।