দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ খাবারের প্লেটে সয়াবিন আর বাদামের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিল মঙ্গলসূত্র। পরে বেমালুম ভুলে গিয়ে ঘরের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন গিন্নি। এদিকে মহিষকে সেই প্লেটেই খাবার খেতে দিয়েছিলেন। আর তাতেই ঘটে যায় বিপদ। এক্কেবারে দেড় লক্ষ টাকার মঙ্গলসূত্রই চলে যায় মহিষের পেটে। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। রূপোলি পর্দার কোনও কমেডি গল্প নয়, বাস্তবেই এমন ঘটনা ঘটেছে, যা প্রকাশ্যে আসতেই তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন সকলে।
দুনিয়ায় প্রতিনিয়ত কত রকম ঘটনাই না ঘটে চলেছে। যার মধ্যে কিছু অদ্ভূত ঘটনা শুনলে অবাক হতেই হয়! ঠিক যেমনটা ঘটেছে রবিবার মহারাষ্ট্রের ওয়াসিম জেলায়। যেখানে এক পোষ্য মহিষ খেয়ে ফেলে বাড়ির গিন্নির মঙ্গলসূত্র। দেড় লক্ষ টাকার সেই গয়না যে দিব্যি গলাধঃকরণ করে ফেলে প্রাণীটি। আর তারপর? একটু গোড়া থেকেই জেনে নেওয়া যাক কী ঘটেছিল।
রোজকার মতো সেদিনও মহিষের জন্য খাবার রেখেছিলেন কৃষক রামহরির স্ত্রী। স্নানের আগে তিনি পোষ্য মহিষকে প্লেটে সাজিয়ে দেন সোয়াবিন আর বাদাম। আর সেই খাবারের আড়ালেই ছিল নিজের লক্ষাধিক টাকার মঙ্গলসূত্র যেটা ওই প্লেটে রেখে তিনি স্নান করতে গেছিলেন। এদিকে প্লেটে মঙ্গলসূত্র রাখার কথাও বেমালুম ভুলে গেছিলেন তিনি। খাওয়ার জন্য় মহিষের সামনে প্লেট রেখে তিনি ঘরের কাজ করতে থাকেন। আর সেসময়ই খাবার ভেবে মঙ্গলসূত্রও দিব্যি খেয়ে ফেলে মহিষ।
বেশ কিছুক্ষণ পর মঙ্গলসূত্রের কথা মনে পড়ে তরুণীর। যদিও তিনি কোথায় সেটি রেখেছেন তা প্রথমে মনে করতে পারছিলেন না। সাধের মঙ্গলসূত্র খুঁজতে গোটা বাড়ি তোলপাড় করে ফেলেন তিনি। কিন্তু কোথাও পাননি সেই দামি হার। এরপর খানিক বাদেই তাঁর মনে পড়ে, স্নানের আগে গলা থেকে খুলে মোষের খাবারের প্লেটে মঙ্গলসূত্র রেখেছিলেন তিনি। এদিকে সেই প্লেট তো এখন ফাঁকা! তাহলে? বুঝে উঠতে আর বেশি দেরি হয়নি রামহরির স্ত্রীর। তড়িখড়ি খবর দেন স্বামীকে।
রামহরি দ্রুত স্থানীয় পশু চিকিৎসক বালাসাহেব কাউন্দানকে ঘটনাটি জানান। তিনি মেটল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করে বুঝতে পারেন সত্যি মোষের পেটের মধ্যেই রয়েছে দেড় লক্ষ টাকার মঙ্গলসূত্র। এরপর শুরু হয় পেট থেকে মঙ্গলসূত্র বের করার প্রক্রিয়া। যার জন্য মহিষের পেটে একটি ছোট অস্ত্রোপচার করা হয়। অবশেষে মহিষের পেট থেকে বের করা মঙ্গলসূত্র ফিরে পান রামহরির স্ত্রী। তবে শুধু মঙ্গলসূত্রের জন্যই নয়, ধাতব পদার্থ খেয়ে ফেলায় মহিষের সুস্থতা নিয়েও চিন্তিত ছিল সকলে। সেক্ষেত্রে পোষ্য প্রাণীটি সুস্থ আছে বলেই জানিয়েছেন পশু চিকিৎসক।