দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ টেলিভিশনে রাজনৈতিক নেতাদের প্যানেল আলোচনা নয়, বরং একে বলা যেতে পারে রাজনৈতিক নেতাদের কুস্তি প্রতিযোগিতা। ২০২৪ সালে যেমন ভারতের নির্বাচন, তেমনই নির্বাচন প্রতিবেশি দেশ পাকিস্তানেও। ভারতের মতোই সীমান্তের ওই পাড়েও ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজনৈতিক আবহাওয়া। আর, তার আঁচ পড়ছে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের আচার-আচরণেও। শালীনতা, সৌজন্যের সীমা আর ধরে রাখতে পারছেন না তাঁরা। রাজনৈতিক উত্তেজনার এমনই এক কুরুচিকর ছবি ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। পাকিস্তানে এক টিভি চ্যানেলে রাজনৈতিক বিতর্কে অংশ নিতে এসেছিলেন, নওয়াজ শরিফের দল, পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ বা পিএমএল-এন দলের নেতা তথা সেনেটর আফনান উল্লাহ খান। তাঁর উল্টো দিকে ছিলেন ইমরান খানের দল, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ বা পিটিআই-এর নেতা শের আফজাল খান মারওয়াত। আর এই দুই নেতাকেই দেখা গেল, হাত থাকতে মুখে কথা বলতে রাজি নন তাঁরা।
রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজের সেনেটর আফনান উল্লাহ খান অভিযোগ করেন, ইমরান খান নাকি ক্ষমতা ধরে রাখতে সেনার শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে ব্যাকচ্যানেল বৈঠক করেছিলেন। তাছাড়াও ইমরানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন আফনান। এরপরই ইমরানের আইনজীবী আচমকা উঠে আফনানকে মারতে যান। পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজের সেনেটর আফনান উল্লাহ খানের মাথায় চাটি মারেন পিটিআই নেতা শের আফজাল খান। এরপরই পালটা হাত চালাতে শুরু করেন পাক সংসদ সদস্য। উঠে পড়ে ইমরানের দলের নেতাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন তিনি। আর এই সবই লাইভ টিভিতে সম্প্রচারিত হতে থাকে। ক্যামেরার সামনেই পিটিআই নেতাকে লাথি মারেন পাক সেনেটর। একে অপরের পরিবার তুলে গালি দিতে থাকেন।
দুই বর্ষীয়ান নেতাকে শান্ত করতে এরপর টিভি চ্যানেলের ক্রু সদস্যরা ছুটে যান। এই ঘটনার বেশ কয়েক ঘণ্টা পরে আফনান নিজের বক্তব্য পেশ করেন। তিনি দাবি করেন, হিংসায় তিনি বিশ্বাস করেন না। তবে তিনি নিজেকে 'নওয়াজ শরিফের সৈনিক' বলে আখ্যা দেন। তিনি নিজের পোস্টে লেখেন, 'একটি টিভি শো চলাকালীন আমার ওপর আক্রমণ করেন আফজাল খান। আমি অহিংসায় বিশঅবাসী তবে নমওয়াজ শরিফের সৈনিক। যা ঘটেছে তা যেন পিটিআইয়ের জন্য একটা শিক্ষা হয়ে থাকে। বিশেষ করে ইমরান খানের জন্য। এরপরে তাদের বড় কালো চশমা পরে থাকতে হবে।' এদিকে এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন ইমরানের আইনজীবীও। তিনি বলেন, 'যদি এক্সপ্রেস টিভির সৎ সাহস থাকে তাহলে পুরো বিষয়টা সামনে আনা হোক। এই মারপিটের আগে ৫ থেকে ৬ মিনিট ধরে যে আলোচনা এবং বিতর্ক হয়, তা সম্প্রচার করা হোক। সেই রেকর্ডিংটা কেন প্রকাশ করা হচ্ছে না? যদি জাভেদ চৌধুরী (সঞ্চালক) পুরো ভিডিয়োটা প্রকাশ করেন, তাহলেই স্পষ্ট হবে আমি কেন সেই নেতাকে মেরেছিলাম।'