দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ যে কোনও শহরেই দেখা মেলে ঝাঁ চকচকে সুইমিং পুলের। সাঁতার কাটার জন্য শহরবাসীদের সুইমিং পুলই অন্যতম ঠিকানা। বেশ বাঁধানো পার, সবুজ-নীল আভার পরিষ্কার জলে সাতাঁর কাটতে পছন্দ করেন অনেকেই। খানিকটা গা এলিয়ে আরাম করার জন্যই আবার অনেকের সুইমিং পুলে যাতায়াত। ধরা যাক এরকমই একটা সুইমিং পুলে গিয়ে আপনি সবে তোড়জোর করে পুলের জলে নেমেছেন আর তখনই আপনার চোখে পড়ল আপনার পাশেই সাতাঁর কাটছে এক কুমির। কী ভেবেই গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল? শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও বাস্তবে ঘটেছে এমনই একটি ঘটনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই দৃশ্য।
ঘটনাটি মুম্বই শহরের দাদর এলাকার। সেখানেই সোমবার ভোরে মহাত্মা গান্ধী সুইমিং পুলে দেখা মিলেছে আস্ত এক কুমির শাবকের। পুলের জল পরীক্ষা করার সময়ে কর্মীরা কুমির শাবকটিকে উদ্ধার করে। কিন্তু মুম্বই পৌরনিগমের নিয়ন্ত্রণাধীন ওই সুইমিং পুলটিতে কুমির এল কোথা থেকে, সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন সকালে মানুষজন সাঁতার কাটতে আসার আগে সুইমিং পুলের জল ঠিকঠাক আছে কিনা সেটি পরীক্ষা করে দেখা হয়। রোজকার মতো সোমবারও জল পরীক্ষা করছিলেন কর্মীরা। তখনই অর্থাৎ ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ কুমিরটি নজরে আসে তাঁদের। হইচই পড়ে যায় কর্মীদের মধ্যে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁরা। দ্রুত খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। এরপই প্রায় ২ ফুট লম্বা কুমিরটিকে উদ্ধার করা হয়। পুল পরিষ্কার করার জাল দিয়ে সুইমিং পুল থেকে কুমিরটিকে তোলা হয়। ইতিমধ্যে প্রাণীটিকে বন দফতরের হাতে তুলে দিয়েছে মুম্বই পৌরনিগম কর্তৃপক্ষ।
ঘটনাটিতে তাজ্জব হয়ে গিয়েছে পুর দফতরও। সুইমিং পুলে কুমির এল কীভাবে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে স্থানীদের দাবি, সমুদ্র তীরবর্তী সংলগ্ন এলাকায় ওই সুইমিং পুলটি রয়েছে। সেখানে এর আগে একটি সাপও চলে এসেছিল। এবার দেখা মিলল কুমিরের। আপতত কুমিরের সুইমিং পুলে প্রবেশের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় সকলে। নিয়মিত যারা ওই পুলে স্নান করেন তাঁদের মনে যথেষ্ট আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কুমির উদ্ধার হলেও জলে নামতে ভয় পাচ্ছেন তাঁরা।
এ প্রসঙ্গে মুম্বইয়ের পৌরনিগম কর্তা জানিয়েছেন, কুমির কোথা থেকে সুইমিং পুলে এল, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে। রিপোর্ট হাতে এলেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আগামী দিনে যাতে এই ধরনের ঘটনা না হয় সেবিষয়ে নিশ্চিত করেছে পুরনিগম কর্তৃপক্ষ।