দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: মালদার তৃণমূল কাউন্সিলর বাবলা সরকারকে গুলি করে খুনের ঘটনায় সাড়া পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যে। তদন্তে উঠে আসে কুখ্যাত ‘ভাড়াটে খুনি’ বাবলু যাদবের নাম। দীর্ঘ সাত মাস ধরে পলাতক থাকার পর, যাঁর খোঁজে পুলিশ ২ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল, সেই বাবলু শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ মালদা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশের অনুমান, খুনের পর বাবলু বিহারে পালিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই আট জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, বাবলুর আত্মসমর্পণের ফলে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল নয়।
গত ২ জানুয়ারি ইংরেজবাজার পুরসভার মহানন্দাপল্লি এলাকায় এলোপাথাড়ি গুলি চালানো হয়েছিল তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি তথা কাউন্সিলার বাবলা সরকারের উপরে। তাঁকে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ইংরেজবাজার টাউনের তৃণমূলের সভাপতি তথা সংশ্লিষ্ট পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এবং এক সময়ের বাম নেতা স্বপন শর্মাকে। এই নরেন্দ্রনাথকে দল থেকে বহিষ্কারও করেছিল তৃণমূল। এ বার বাবলু যাদবের আত্মসমর্পণের পরে কি নয়া মোড় নেবে এই মামলা? উঠছে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদা সফরে দিয়ে বাবলা সরকারের বাড়িতে গিয়েছিলেন এবং দেখা করেছিলেন তাঁর স্ত্রী চৈতালি সরকারের সঙ্গে। তিনি স্পষ্ট বার্তা দেন, কাউকে রেয়াত করা হবে না। পুলিশকেও দ্রুত পদক্ষেপ করার বিষয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।