দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ তিমি প্রাণীকুলের সবচেয়ে বড়ো দেহ বিশিষ্ট জলজ প্রাণী। কিন্তু এই তিমি কি জঙ্গলেও থাকতে পারে? ব্যাপারটা নিশ্চই অসম্ভব। কিন্তু প্রকৃতির কৃপায় তাও কিছুটা যেন সম্ভব হয়ে উঠেছে। এবার আসল কথায় আসি।
এ জঙ্গল সবুজে ভরা। জঙ্গলে প্রবেশ করলে অনেক জায়গায় আলো পর্যন্ত ভাল করে পাওয়া যায় না গাছের জন্য। এই ঘন জঙ্গলের আকর্ষণ কিন্তু বাঘ, ভাল্লুক নয়। বরং এই জঙ্গলের মূল আকর্ষণ এখানকার ৩টি তিমি মাছ। যা দেখতে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন মানুষজন। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন এই জঙ্গল সাড়ে ৭ কোটি বছর আছে জঙ্গল ছিলনা। ছিল এক মরুভূমি। যেখানে সবুজের চিহ্নমাত্র ছিলনা। পরে টেকটনিক প্লেটের নড়াচড়ায় স্যান্ডস্টোন উপরের দিকে উঠে আসে। মাটি জমে তৈরি হয় উর্বর জমি। অবশেষে এক ঘন জঙ্গল। জঙ্গলটির নাম হিন সাম ওয়ান। যার অর্থ হল ৩টি তিমির পাথর। এ জঙ্গল ঘন হতে পারে। এখানে অনেক জন্তু জানোয়ার থাকতে পারে। কিন্তু মানুষের মূল আকর্ষণ এই তিমি। ৩টি তিমির আকারের পাথর পাশাপাশি রয়েছে এই জঙ্গলে।
জঙ্গলটির নাম হিন সাম ওয়ান। যার অর্থ হল ৩টি তিমির পাথর। এ জঙ্গল ঘন হতে পারে। এখানে অনেক জন্তু জানোয়ার থাকতে পারে। কিন্তু মানুষের মূল আকর্ষণ এই তিমি। ৩টি তিমির আকারের পাথর পাশাপাশি রয়েছে এই জঙ্গলে। জঙ্গলটি পাহাড়ে ঘেরা। ফোউ স্যাং পাহাড়ের ধারেই এই ৩টি তিমির আকারের অতিকায় পাথর রয়েছে। যা দেখে তিমিমাছ ছাড়া আর কিছুই মনে হবেনা। মনে হবে ৩টি তিমিই এখানে পাথর করে রাখা আছে। প্রকৃতির এই সৃষ্টি মানুষকে অবাক করে। থাইল্যান্ডে মেকং নদীর ধারে এই ৩টি তিমির একটি বাবা তিমি একটি মা তিমি আর একটি সন্তান তিমি হিসাবে পরিচিত। হাজার বছর ধরে এই তিন তিমি শুয়ে আছে ওই জঙ্গলের গভীরে। এরমধ্যে বাবা ও মা তিমির পাথরের ওপর হেঁটে ঘোরা সম্ভব হয়। কিন্তু সন্তান তিমিতে পৌঁছনো যায়না। তা এমনই জায়গায় রয়েছে। তবে এই ৩ তিমিই এই জঙ্গলের মূল আকর্ষণ। এখনো প্রতিদিন বহু মানুষ যান ওই তিন তিমি দেখতে। এলাকায় গড়ে উঠেছে একটা পর্যটন কেন্দ্র।